বাগমারায় গ্রাহকের দশ কোটি টাকা নিয়ে উধাও এনজিও ভুক্তভোগীদের বিক্ষোভ মিছিল অফিস ঘেরাও
বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি

বাগমারায় গ্রাহকের প্রায় দশ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছেন বেসরকারী এনজিও আঁত-তাবারা রাজশাহী লিমিটেডের পরিচালক মুশফিকুর রহমান। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা সোমবার দুপুরে ভবানীগঞ্জ বাজারে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা আতœগোপন করা ওই এনজিও পরিচালককে দ্রæত গ্রেফতারের দাবিতে বিভিন্ন ¯েøাগান দিয়ে এক পর্যায়ে তারা ওই এনজিও অফিস ঘেরাও করেন।
জানা গেছে, মাড়িয়া ইউনিয়নের চাম্পাকুড়ি গ্রামের আয়েন উদ্দিনের ছেলে মুশফিকুর রহমান ও তার ছোট ভাই মশিউর রহমান এবং উত্তর একডালা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোফাজ্জল হোসেনসহ ১০/১২ জন সদস্য মিলে সম্প্রতি বাগমারার উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জ বাজারে হেলিপ্যাড মাঠ সংলগ্ন পশ্চিম পাশের্^ ‘আঁত-তাবারা রাজশাহী লি:’ ও ‘আঁত-তাবারা কর্মচারী সমবায় সমিতি লি:’ নামে দুটি পারিবারিক এনজিও চালু করেন। এরপর তারা প্রতারনা করে বালানগর গ্রামের বাসিন্দা মাদ্রাসা সুপার আব্দুল্লাহর কাছে থেকে আট লক্ষ, বৈইকুড়ি গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক জামাল উদ্দিনের কাছে থেকে পাঁচ লক্ষ, বিলবাড়ি গ্রামের রমজান আলীর কাছে থেকে পাঁচ লক্ষ, পাইকপাড়া গ্রামের অজুফা খাতুনের কাছে থেকে পাঁচ লক্ষ, একই গ্রামের সাহেব উল্লাহ’র কাছে থেকে দুই লক্ষ, পানিশাইল গ্রামের আব্দুর রহমানের কাছে থেকে পাঁচ লক্ষ, কাস্টনাংলা গ্রামের নাজমুল হকের কাছে থেকে পাঁচ লক্ষ, ভবানীগঞ্জ পৌরসভার সূর্য্যপাড়া মহল্লার তানজিলা আক্তারের কাছে থেকে পাঁচ লক্ষ, ভবানীগঞ্জ পৌরসভার ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ আগাখাঁনের স্ত্রী শিরিন আক্তারের কাছে থেকে তিন লক্ষ, জারজিস হোসাইনের কাছে থেকে পাঁচ লক্ষ, শেখপাড়া মহল্লার ফিরোজের স্ত্রী রুশি বেগমের কাছে থেকে সাড়ে তিন লক্ষ, দানগাছী মহল্লার মোস্তাক আহম্মেদের কাছে থেকে ২৩ লক্ষ, চাঁনপাড়া মহল্লার আব্দুস সালামের কাছে থেকে দুই লক্ষ, একই মহল্লার হুরুনের কাছে থেকে ১২ লক্ষ, নাজমুল হক জনির কাছে থেকে ৫ লক্ষ, খুশি খাতুন ও তার মায়ের কাছে থেকে সাত লক্ষ, ঝিকরা গ্রামের রইচ উদ্দিনের কাছে থেকে ২০ লক্ষ, আবুল কালাম স্বর্ণকারের কাছে থেকে ২০ লক্ষ, বালিয়া গ্রামের আবু হেনা মোস্তাফা কামালের কাছে থেকে সাড়ে ৪ লক্ষ ও সগুনা গ্রামের সাউফুল ইসলামের কাছে থেকে দুই লক্ষসহ প্রায় পাঁচশতাধিক গ্রাহকের কাছে থেকে প্রায় দশ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করেন। এরপর ওই এনজিও’র পরিচালক মুশফিকুর রহমান সম্প্রতি ওই এনজিও’র অফিস ভবন তার ছোট ভাই মশিউর রহমানের কাছে হস্তান্তর করে দিয়ে তিনি উধাও হয়ে যান। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা ভবানীগঞ্জ বাজারে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি ভবানীগঞ্জ বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা ওই এনজিও অফিস ঘেরাও করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম বলেন, গ্রাহকদের আমানতের টাকা ফেরৎ দেওয়ার ভয়ে ওই এনজিও’র পরিচালক প্রায় এক সপ্তাহ ধরে আতœগোপন করে আছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে এ বিষয়ে এখনো লিখিতভাবে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
JN