চিকিৎসার নামে প্রতারণার অভিযোগে বাগমারায় দুই সহযোগীসহ এক ভুয়া পল্লী চিকিৎসকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন তাহেরপুর পৌরসভার হরিফলা মহল্লার ভুয়া চিকিৎসক মাহাবুর রহমান রাজু, তার সহযোগী আল আমিন ও দেহরক্ষী হাসান আলী। মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে র্যাব-৫, রাজশাহীর একটি বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে নিজ বাসায় স্থাপন করা চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করে। থানার ওসি আমিনুল ইসলাম রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ভুয়া চিকিৎসক মাহাবুর রহমান রাজু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৪৪ বছরের সাজা প্রাপ্ত আসামি। সে দীর্ঘ দিন যাবৎ জেলে থাকার পর সম্প্রতি জামনে মুক্তি পায়। এরপর সে তাহেরপুর পৌরসভার হরিফলা মহল্লায় তার নিজ বাড়িতে চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করে সন্তান হওয়া, বুকের ব্যাথা, হার্ট ও কিডনির সমস্যাসহ বিভিন্ন কঠিন ও জটিল রোগের চিকিৎসার নামে এলাকার গরীব ও অসহায় মানুষের কাছে থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করে আসছিল। চিকিৎসার নামে টেবিলে এক গøাস পানি রেখে সেই পানি দেখেই সে রোগ নির্নয় ও চিকিৎসা দিতে পারত বলে এলাকায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তার এই প্রতারণামুলক চিকিৎসা ব্যবস্থাকে বিশ^াস করে প্রতিদিন দূরদুরান্ত থেকে বিভিন্ন এলাকার অনেক গরীব ও অসহায় মানুষ চিকিৎসা নিতে তার কাছে আসতো। আর তাদের কাছে থেকে দুই-থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হতো।
এ বিষয়ে র্যাব-৫, রাজশাহীর কোম্পানী কমান্ডার সাকিব জানান, সে এসএসসি পাশও করেনি। অথচ চিকিৎসক সেজে গøাসে পানি দেখে রোগ নির্নয় ও চিকিৎসা দেওয়ার নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তার দুইজন সহযোগীসহ তাকে আটক করে থানা পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। সেই সাথে তার ভুয়া চিকিৎসা কেন্দ্র সিলগালা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।