রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে ডিএম জিয়াউর রহমান জিয়া বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়ে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে সার্বক্ষনিক মাঠে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবরপ্রাপ্ত) জহুরুল আলম বাবু ও মাহফুজুর রহমান।
তারা দুজনেই এই আসনে এবার বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। মনোনয়ন পাওয়ার আশায় তারা ধানের শীষের পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে ভোটাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কুশল বিনিময়, গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও মতবিনিময় সভা করেছেন।
তবে তারা মনোনয়ন না পেলেও দলের হাই কমান্ডের প্রতি তাদের কোন ক্ষোভ নেই। কারণ দলের একজন ত্যাগী নেতা হিসাবে ডিএম জিয়াকে প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত করায় দলের হাই কমান্ডকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবরপ্রাপ্ত) জহুরুল আলম বাবু ও মাহফুজুর রহমান অভিনন্দন জানিয়েছেন পৃথক পৃথকভাবে তারা বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে তারা ডিএম জিয়াকে বিজয়ী করতে দলমত নির্বিশেষে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে সক্রিয় হওয়ার জন্য আহবান জানান। এছাড়া সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ডিএম জিয়াকে তথা ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ দলের হাই কমান্ডকে এই আসনটি এবার উপহার দেওয়ারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা। দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পর নিজ নিজ ফেসবুক আইডিতে তাৎক্ষনিকভাবে তাদের নিজস্ব প্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়ে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন বিএনপির এই দুই জনপ্রিয় ও বর্ষিয়ান নেতা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবরপ্রাপ্ত) জহুরুল আলম বাবু ও মাহফুজুর রহমান।
এদিকে ভবানীগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র আব্দুর রাজ্জাক ও তাহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র আবু নঈম সামসুর রহমান মিন্টু বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ডিএম জিয়া ভাইয়ের জন্য আমরা অপেক্ষায় ছিলাম।
মনোনয়নের মধ্য দিয়ে আমাদের সেই আশা পুরন হয়েছে। ডিএম জিয়াউর রহমান জিয়া বাগমারা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। সারা দেশব্যাপী বিএনপি’র দূর্দিনের সময় ২০০৮ সালে উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে ডিএম জিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
এরপর তার নেতৃত্বে এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি বিএনপির সংগঠন আরো গতিশীল ও সক্রিয় হয়ে উঠে। এ কারণে ডিএম জিয়ার মনোনয়নকে ‘অনুমেয়’ হিসাবে দেখছেন স্থানীয় নেতারা।
মনোনয়ন ঘোষনার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের মাধ্যে উল্লাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জিয়ার মনোনয়নে দলের ত্যাগী নেতাদের পাশাপাশি তৃনমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীরাও এখন উজ্জীবিত। সেই সাথে সাধারণ ভোটারদের মাঝেও ভোট নিয়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ডিএম জিয়ার মনোনয়নকে সমর্থন জানিয়ে আনন্দ ও উল্লাস প্রকাশ করেছেন অনেকেই।