বাগমারায় ডিএম জিয়া বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ায় তৃণমূল নেতারাও খুশি

আবু বাককার সুজন, বাগমারা (রাজশাহী)

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে এবার উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রধান শিক্ষক ডি.এম জিয়াউর রহমান জিয়া বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ায় দলের তৃনমূল পর্যায়ে নেতা-কর্মীরাও খুশি হয়েছেন।

গতকাল সোমবার বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনুষ্ঠানিকভাবে এই আসনে বিএনপির একক প্রার্থী হিসাবে ডি.এম জিয়াউর রহমান জিয়ার নাম ঘোষনা করেন। এরপর স্যোশাল ফ্লাটফর্ম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দলীয় নেতা-কর্মীরা ডি.এম জিয়ার মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বিভিন্নভাবে তাদের মনের প্রতিক্রিয়ার কথা ব্যক্ত করেন।

এ প্রসঙ্গে নরদাশ ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, এবার তারা ডি.এম জিয়াকেই এই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসাবে প্রত্যাশা করেছিলেন। তাদের সেই আশা শতভাগ পুরণ হয়েছে। কারণ ডি.এম জিয়া এলাকার মানুষের কাছে একজন স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত।

বাগমারা উপজেলা তাঁতী দলের আহবায়ক মামুনুর রশিদ মামুন, উপজেলা জিসাস সভাপতি আব্দুল জলিল ও হামিরকুৎসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বেলাল উদ্দিন শাহ বলেন, ডি.এ জিয়া বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ায় তারা মহাখুশি। কারণ ডি.এম জিয়া একজন উদার মনের ত্যাগী নেতা। বিগত ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে বাগমারায় বিএনপির যে সব নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা হয়েছে তাদের জামিনে মুক্ত করাসহ মামলা মোকাবেলার সমস্ত দায়দায়িত্ব তিনিই বহণ করেছেন। এ জন্য আমাদের কোনো টাকা পয়সা খরচ করতে হয়নি।

তাছাড়া যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবার আগে তিনি অসহায়দের পাশে ছুটে গিয়ে এলাকাবাসীর কাছে আস্তাভাজন নেতা হিসেবে বিশ্বাস স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। কাজেই একজন উদার মনের ত্যাগী নেতা হিসাবে ডি.এম জিয়াকে দল মনোনয়ন দেওয়ায় এই আসনে তার বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব অধ্যাপক শামসুজজোহা বাদশা ও ভবানীগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন।

এদিকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদের কথা ব্যক্ত করে ডি.এম জিয়া বলেছেন, সারা দেশব্যাপী বিএনপি’র দূর্দিনের সময় ২০০৮ সালের উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীতি প্রার্থী এ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেনকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে আমি বাগমারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সাধ্যমতো জনগণের সেবা ও এলাকার উন্নয়ন করেছি।

এর আগে তিনি আউচপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসাবেও সার্বক্ষনিক জনগণের পাশে থেকে সেবা করেছেন বলে জানান। কাজেই দল এবারও তাকে মুল্যায়ন করায় দলের হাই কমান্ডের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

আরো দেখুনঃ