সরকারি রাস্তার ক্ষতিসাধন করলে দুই বছরের জেল বা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে আইনে। এই বিধান উল্লেখ করে বাগমারায় পুকুর মালিকদের চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তবুও বন্ধ হয়নি পুকুর খনন। এই উপজেলায় পুকুর খনন ও মাটি পরিবহণের সময় ট্রাক্টর থেকে মাটি পড়ে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সরকারি পাকা সড়ক নষ্ট হয়ে গেছে। আরও অনেক সড়ক হুমকির মুখে।
উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় মাছ চাষের জন্য ব্যাপকভাবে কৃষি জমিতে পুকুর খনন চলছে। সরকারি সড়কের ধারে এসব পুকুর খননের কারণে সড়ক ভেঙ্গে যাচ্ছে। আবার পুকুরের মাটি ইটভাটায় ও অন্যত্র ট্রাকের মাধ্যমে পরিবহণের সময় মাটি পড় রাস্তার বিটুমিনের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশলী খলিলুর রহমান বলেন, ট্রাক্টরযোগে মাটি পরিবহণের কারণে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে ১৫০ কোটি টাকা
ব্যয়ে নির্মাণ করা রাস্তাগুলো সব নষ্ট হয়ে গেছে।
সম্প্রতি গোবিন্দপাড়া, নরদাশ, আউচপাড়া, শুভডাঙ্গা, বাসুপাড়া, গণিপুর, গোয়ালকান্দি,মাড়িয়া, হামিরকুৎসা, ঝিকরা ও বড় বিহানালী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা এবং উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জ ও তাহেরপুর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রীতিমতো পুকুর খননের উৎসব চলছে। চারদিক থেকে পুকুরের মাটি নিয়ে গাড়ি যাচ্ছে। ওইসব এলাকার পাকা রাস্তাগুলো একেবারে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। স্থানীয়দের দেয়া তথ্য মতে, মাত্র দেড় বছরের মধ্যে এ
উপজেলায় কৃষি জমিতে প্রায় চারশতাধিক পুকুর খনন করা হয়েছে। গণিপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সামসুজ্জোহা বাদশা ও কলেজ শিক্ষক আমিনুল ইসলাম জানান, দু’বিলার মধ্যে কৃষি জমিতে দিঘি খনন করে মাদারীগঞ্জ ও মচমইল এলাকার দু’টি ইটভাটায় ট্রাক্টরযোগে মাটি পরিবহণের কারণে মাদারীগঞ্জ থেকে হাট মচমইল পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার পাকা সড়ক বর্তমানে পুলোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম বলেন, কোথাও পুকুর খননের অভিযোগ পেলেই সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ভেকু ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে পুকুর খনন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তবে কোনো কোনো এলাকায় রাতে আধারে গোপনে পুকুর খননের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।