বাগমারায় প্রচারণায় এগিয়ে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী টুটুল
বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসাবে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন জেলা যুবদলের সদস্য সচিব ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম টুটুল।
এই আসনে এবার মোট ১১ জন প্রার্থী বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার আশায় মাঠে নেমেছেন। তবে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এবং দুইটি পৌর এলাকার প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে লিফলেট বিতরণ, গণসংযোগ, কর্মিসভা ও মতবিনিময় সভাসহ বিভিন্ন কৌশলে প্রচারনা চালিয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন টুটুল।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন তিনি। এদিকে গত রোববার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রদত্ত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট ও টুটুলের ছবি সম্বলিত পোস্টার হাতে নিয়ে প্রায় চার হাজার মহিলা দলের নেতৃবৃন্দরা একযোগে ব্যতিক্রমী প্রচার মিছিল, লিফলেট বিতরণ ও উঠান বৈঠক করে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। রেজাউল করিম টুটুলের পক্ষে মহিলা দলের একযোগে এই ব্যতিক্রমী প্রচারনায় বাগমারায় একদিকে যেমন ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে, অন্যদিকে সাধারণ ভোটারদের মাঝেও ভোট নিয়ে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।
বাগমারা উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি নেহার বানু ও সাধারণ সম্পাদক রুপালী আক্তার রুপা বলেন, রাজশাহী-৪ আসন থেকে এবার রেজাউল করিম টুটুলকে প্রার্থী হিসাবে দেখতে চান দলের তৃণমূল নেতাকর্মিরা। কারণ টুটুল এলাকার মানুষের কাছে একজন স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। এ কারণে এবার তারা টুটুলের পক্ষেই মাঠে নেমেছেন বলে মন্তব্য করেন।
ভবানীগঞ্জ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মেহেদী হাসান টিপু, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মীর মাসুদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান বলেন, রেজাউল করিম টুটুল একজন উদার মনের ত্যাগী নেতা। বিগত ১৬ বছরে বাগমারায় বিএনপির যে সব নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা হয়েছে তাদের জামিনে মুক্ত করাসহ মামলা মোকাবেলার সমস্ত দায়দায়িত্ব তিনিই বহণ করেছেন। তাছাড়া যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবার আগে তিনি অসহায়দের পাশে ছুটে গিয়ে এলাকাবাসীর কাছে আস্তাভাজন নেতা হিসেবে বিশ্বাস স্থাপন করতেও সক্ষম হয়েছেন। কাজেই তাকে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হলে এ আসনে কেউ তার বিজয় ঠেকাতে পারবে না।
উপজেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক আব্দুল মালেক মানিক, সাবেক সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক শাহাদত হোসেন, ভবানীগঞ্জ পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ডিএম শাহীন ও ভবানীগঞ্জ পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক জহুরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে টুটুলের নেতৃত্বে বাগমারায় বিএনপির সংগঠন বেগবান, সুসংগঠিত, শক্তিশালী ও নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। কাজেই বিএনপির সংগঠন আরো নিয়ন্ত্রিত ও গতিশীল করতে টুটুলের কোনো বিকল্প নেই।
ভবানীগঞ্জ পৌর মহিলা দলের সভাপতি শাহিনা আক্তার ডলি ও সাধারণ সম্পাদক পলিনা খাতুন বলেন, বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশগ্রহন ও আর্থিকভাবে সহযোগীতা করে ইতোমধ্যেই তিনি সকলের মন জয় করেছেন। জনসেবার মাধমে টুটুল শিক্ষক, কৃষক, ব্যবসায়ী, শ্রমিক. রিক্সাচালক ও ভ্যানচালকসহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছে একজন আদর্শবান ব্যক্তি হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন। এ কারণে দলের তৃণমূল নেতা-কর্মিরা আগামী জাতীয় নির্বাচনে তাকে বিএনপির একক প্রার্থী হিসাবে দেখতে চান। কারণ রাজনৈতিক জীবনে তিনি একজন সাদা মনের মানুষ। ধনী-গরীব সবাই তার কাছে সমান।
এদিকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী রেজাউল করিম টুটুল বলেন, সারা দেশব্যাপী বিএনপি’র দূর্দিনের সময় দলের চেয়ারপারসনের মুক্তি ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সকল সড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে মাঠে থেকে বিক্ষোভ মিছিল, পোস্টার সাঁটানো ও প্রচারপত্র বিতরনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ করেছেন তিনি। এছাড়া ছাত্র-জনতার হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। আর হাসিনা বিরোধী হরতাল ও অবরোধ কমসূচী পালন করতে গিয়ে তাকে কারাগারেও যেতে হয়েছে বলে তিনি জানান। কাজেই দলের একজন কারানির্যাতিত ত্যাগী নেতা হিসাবে দলের হাই কমান্ড তার কথা বিবেচনা করবে বলে তিনি শতভাগ আশাবাদী।