বাগমারায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি।।

বাগমারার চেউখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বকুল আলী খরাদীর বিরুদ্ধে জমি লিখে নিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও নিয়োগ বণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। প্রধান শিক্ষকের চাহিদা অনুযায়ী এক শতক জমি ও ১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়া রফিকুল ইসলাম সরদার নামে এক শিক্ষক ২০ বছর ধরে বিনা বেতনে শিক্ষকতা করছেন। অথচ দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক আরো অর্থের লোভে ওই শিক্ষককের নামে ব্যানবেইসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আজও তাকে এমপিওভূক্ত করা হয়নি। ফলে ২০ বছর ধরে বিনা বেতনে শিক্ষকতা করে র্তমানে মানবেতন দিন কাটাচ্ছেন ওই শিক্ষক ও তার পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক রফিকুল ইসলাম সরদার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চেউখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক বকুল আলী খরাদী এক শতক জমি রেজিস্ট্রি করে নিয়ে বিগত ০৫/০২/২০০৫ ইং তারিখে রফিকুল ইসলাম সরদারকে প্রথমে প্রস্তাবিত শাখায় সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগ দেন। পরবর্তীতে ওই শিক্ষককে পদ পালটিয়ে ইংরেজি পদে এমপিওভূক্ত করে দেওয়ার শর্তে ১৫ লক্ষ ২ হাজার টাকা নিয়ে আতসাৎ করেন এবং ওই শিককের কাছে থেকে তিনশ টাকা মুল্যের নন জুডিশিয়াল ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেন। কিন্তু ২০ বছর অতিবাহিত হলেও আজও তাকে এমপিওভূক্ত করা হয়নি। এছাড়া শরীর চর্চা পদে মিজানুর রহমান নামে এক শিক্ষককে নিয়োগ দিয়ে মোট অংকের ডোনেশনের নিয়ে আতসাৎ করে আজও তাকে এমপিওভুক্ত করা হয়নি। এছাড়া এসএসসি ফরম পুরণের নামে শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে অবৈধভাবে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে আতœসাৎ করছেন প্রধান শিক্ষক।

এ বিষয়ে সম্প্রতি যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে আদায় করা অতিরিক্ত টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন তিনি।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বকুল আলী খরাদী জানান, তিনি আওয়ামী লীগ রাজনীতির সাথে জড়িত। এ কারণে সরকার পতনের পর থেকে তিনি স্কুলে যেতে পারছেন না। কাজেই এ বিষয়ে পত্রিকায় কিছু না লিখার জন্য তিনি অনুরোধ জানান। এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ড. শারমিন ফেরদৌস চৌধুরী বলেন, অভিযোগের বিষয়টি সরেজমিনে তদন্তপূর্বক সুস্পষ্ট মতামতসহ ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলেন জন্য চিঠি দিয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরো দেখুনঃ