বাগমারা উপজেলা বিএনপির আহŸায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ডি.এম জিয়াউর রহমান জিয়ার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতা-কর্মীরা ভবানীগঞ্জ বাজারে এই বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিল শেষে গোডাউন মোড়ে প্রতিবাদ সভায় উপজেলা বিএনপির
সাবেক সদস্য সচিব অধ্যাপক সামসুজ্জোহা বাদশার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- তারেক জিয়ার প্রজন্ম দলের জেলা সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, আউচপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান সাফিকুল
ইসলাম, নরদাশ ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, ভবানীগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাষ্টার
সৈয়দ আলী, শুভডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম ও আউচপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি প্রধান শিক্ষক হাফিজ আল আসাদ প্রমূখ। বক্তারা বলেন,
ডি.এম জিয়া একজন কারা নির্যাতিত নেতা। তিনি রাজনীতি করেন জনগণের স্বার্থে।
আ.লীগের শাসন আমলে তার বিরুদ্ধে ১২ টি মামলা দেওয়া হয়েছে। ৫ আগস্টের পূর্বে তিনি একাধিকবার গ্রেফতারও হয়েছেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে এই আসনে ডি.এম জিয়ার
দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত। এ কারণে তাকে বিতর্কিত করতে দলের প্রতিপক্ষ একটি গ্রæপ তার বিরুদ্ধে সড়যন্ত্র করে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্ন
পত্রিকায় খবর ছাপিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। কাজেই ডি.এম জিয়ার বিরুদ্ধে সকল প্রকার অপপ্রচার বন্ধের দাবি জানান বক্তারা।
এদিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ডি.এম জিয়ার বিরুদ্ধে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও পত্রিকায়
বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় কেশরহাটস্থ নিজ বাসভবনে দলীয় নেতা-কর্মিদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন এই দাবি করেন ডি.এম
জিয়াউর রহমান জিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, তার স্বচ্ছ রাজনীতি ও জনপ্রিয়তার কারনে তিনি জনগণের ভোটে প্রথমে আউচপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত
হয়েছিলেন। এরপর সারা দেশব্যাপী বিএনপির দূর্দিনের সময় ২০০৮ সালে তিনি আ.লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেনকে বিপুল ভোটের ব্যাবধানে পরাজিত করে উপজেলা
পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়া আ.লীগ সরকারের শাসন আমলে কারাগারে বন্দি থাকা দলের চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের
বিরুদ্ধে সকল সড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে বিভিন্ন সময় বিক্ষোভ মিছিল, পোস্টার সাটানো ও প্রচারপত্র বিতরণসহ দলের সকল কেন্দ্রীয় কর্মসূচী পালন করেছেন। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে আ.লীগের কঠোর শাসননামলেও এ উপজেলায় বিএনপি ছিল সু-সংগঠিত ও শক্তিশালী রাজনৈতিক দল। দলের জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করায় আ.লীগ সরকারের পতনের কয়েক দিন আগেও তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব অধ্যাপক সামসুজ্জোহা বাদশা, নরদাশ ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, গোবিন্দপাড়া
ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাষ্টার সৈয়দ আলী, শুভডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল ইসলাম, উপজেলা তাতী দলের যুগ্ন আহŸায়ক
নওসাদ আলী ও আউচপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি আলমগীর হোসেন প্রমূখ।