আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার আশায় এবার মোট ১১ জন প্রার্থী মাঠে নেমেছেন।
তাদের মধ্যে মনোনয়ন দৌড়ে সবার শীর্ষ রয়েছে জেলা যুবদলের সদস্য সচিব ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি তরুণ প্রজন্মের আইকন খ্যাত রেজাউল করিম টুটুল।
রেজাউল করিম টুটুলের পক্ষে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, কৃষকদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা ছাড়াও তার পক্ষে এবার প্রচারনায় মাঠে নেমেছেন মহিলা দলের চার হাজার নারী নেতাকর্মী।
বাগমারা উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি নেহার বানু ও সাধারণ সম্পাদক রুপালী আক্তার রুপা এবং ভবানীগঞ্জ পৌর মহিলা দলের সভাপতি শাহিনা আক্তার ডলি ও সাধারণ সম্পাদক পলিনা খাতুনের নেতৃত্বে প্রতিদিন চার হাজার নারী কর্মীরা টুটুলের পক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রদত্ত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট ও টুটুলের ছবি সম্বলিত পোস্টার হাতে নিয়ে একযোগে ব্যতিক্রমী প্রচার মিছিল, লিফলেট বিতরণ ও উঠান বৈঠক করে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। দলের নারী কর্মীদের একযোগে এই ব্যতিক্রমী প্রচারনায় বাগমারায় সাধারণ ভোটারদের মাঝেও এখন ভোট নিয়ে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।
বাগমারা উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি নেহার বানু ও সাধারণ সম্পাদক রুপালী আক্তার রুপা বলেন, রাজশাহী-৪ আসন থেকে এবার রেজাউল করিম টুটুলকে প্রার্থী হিসাবে দেখতে চান দলের তৃণমূল নেতাকর্মিরা। কারণ টুটুল এলাকার মানুষের কাছে একজন স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। এ কারণে এবার তারা টুটুলের পক্ষেই মাঠে নেমেছেন। ভবানীগঞ্জ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মেহেদী হাসান টিপু, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মীর মাসুদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান বলেন, রেজাউল করিম টুটুল একজন উদার মনের ত্যাগী নেতা। বিগত ১৬ বছরে বাগমারায় বিএনপির যে সব নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা হয়েছে তাদের জামিনে মুক্ত করাসহ মামলা মোকাবেলার সমস্ত দায়দায়িত্ব তিনিই বহণ করেছেন। তাছাড়া যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবার আগে তিনি অসহায়দের পাশে ছুটে গিয়ে এলাকাবাসীর কাছে আস্তাভাজন নেতা হিসেবে বিশ্বাস স্থাপন করতেও সক্ষম হয়েছেন। কাজেই তাকে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হলে এ আসনে কেউ তার বিজয় ঠেকাতে পারবে না।
উপজেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক আব্দুল মালেক মানিক, সাবেক সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক শাহাদত হোসেন, ভবানীগঞ্জ পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ডিএম শাহীন ও ভবানীগঞ্জ পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক জহুরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে টুটুলের নেতৃত্বে বাগমারায় বিএনপির সংগঠন বেগবান, সুসংগঠিত, শক্তিশালী ও নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। কাজেই বিএনপির সংগঠন আরো নিয়ন্ত্রিত ও গতিশীল করতে টুটুলের কোনো বিকল্প নেই। ভবানীগঞ্জ পৌর মহিলা দলের সভাপতি শাহিনা আক্তার ডলি ও সাধারণ সম্পাদক পলিনা খাতুন বলেন, বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশগ্রহন ও আর্থিকভাবে সহযোগীতা করে ইতোমধ্যেই তিনি সকলের মন জয় করেছেন। জনসেবার মাধমে টুটুল শিক্ষক, কৃষক, ব্যবসায়ী, শ্রমিক. রিক্সাচালক ও ভ্যানচালকসহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছে একজন আদর্শবান ব্যক্তি হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন। এ কারণে দলের তৃণমূল নেতা-কর্মিরা আগামী জাতীয় নির্বাচনে তাকে বিএনপির একক প্রার্থী হিসাবে দেখতে চান। কারণ রাজনৈতিক জীবনে তিনি একজন সাদা মনের মানুষ। ধনী-গরীব সবাই তার কাছে সমান।
এদিকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী রেজাউল করিম টুটুল বলেন, সারা দেশব্যাপী বিএনপি’র দূর্দিনের সময় দলের চেয়ারপারসনের মুক্তি ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সকল সড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে মাঠে থেকে বিক্ষোভ মিছিল, পোস্টার সাঁটানো ও প্রচারপত্র বিতরনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ করেছেন তিনি। এছাড়া ছাত্র-জনতার হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। হাসিনা বিরোধী হরতাল ও অবরোধ কমসূচী পালন করতে গিয়ে তাকে কারাগারেও যেতে হয়েছে। কাজেই দলের একজন কারানির্যাতিত ত্যাগী নেতা হিসাবে দলের হাই কমান্ড তার কথা বিবেচনা করবে বলে তিনি শতভাগ আশাবাদী।