অফিস কক্ষের তালা ভেঙ্গে প্রধান শিক্ষকের চেয়ার দখল করে লাপাত্তা হয়েছেন সহকারি প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমান। ঘটনাটি বাগমারার দামনাশ পারদামনাশ উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘটেছে।
জানা গেছে, দামনাশ পারদামনাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমান ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বেলাল উদ্দিন ও গোবিন্দপাড়া ইউপির ১নং ওয়ার্ড সদস্য গোলাম মোস্তফাসহ তার অনুসারী কিছু লোকজন নিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন।
এ সময় বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা নিলুফা ইয়াসমিন ভোটের ট্রেনিং গ্রহণের জন্য ভবানীগঞ্জে ছিলেন। এ সময় ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা মুঠোফোনে কল দিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার কাছে অফিস কক্ষের চাবি দাবি করেন। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা নিলুফা ইয়াসমিন চাবি দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা ও সভাপতি বেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে অফিস কক্ষের তালা ভেঙ্গে প্রধান শিক্ষকের চেয়ার দখল করে নেন।
এরপর সহকারি প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমান নিজেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দাবি করে ওই চেয়ারে বসেন এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে বিদ্যালয় পরিচালনা করেন। কিন্তু চেয়ার দখল কলেরও মাত্র দুইদিন পর তিনি লাপাত্তা হয়ে যান। এ কারণে শনিবার ও রোববার আনিছুর রহমানকে আর প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বেলাল উদ্দিন ও ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা জানান, নিলুফা ইয়াসমিন অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদ দক্ষল করে আছেন। তাকে পদ ছেড়ে দিতে বলা হলেও তিনি রাজি না হওয়ায় অফিস কক্ষের তালা ভেঙ্গে আনিছুর রহমানকে প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসানো হয় বলে তারা স্বীকার করেন। এদিকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, তিনি স্কুলের বাইরে থাকার সুযোগে আনিছুর রহমান জোর করে প্রধান শিক্ষকের চেয়ার দখল করে এখন লাপাত্তা হয়েছেন।
অপরদিকে আনিছুর রহমান দাবি করেন, স্থানীয় কিছু লোকজনের হুমকি-ধামকির কারণে তিনি এখন আর প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসছেন না। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুক্তাদির আহম্মেদ বলেন, ওই স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদ দখল নিয়ে এক শিক্ষক ও শিক্ষিকার মধ্যে এবং সভাপতির পদ নিয়ে কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে থানা ও আদালতে একাধিক মামলা ও অভিযোগ রয়েছে।