বাগমারার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের বিলমালোলী বিলের গরীর ও অসহায় মৎস্যজীবিদের উচ্ছেদ করে দিয়ে জোরপূর্বক বিলটি দখল করে নিয়ে অবৈধভাবে মাছ চাষ করছেন এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল।
বিলটি প্রভাবশালীরা দখলে নেয়ার পর থেকেই জেলেরা ওই বিলে আর মাছ ধরতে পারছেন না। ফলে দেউপাড়া, বিলমালোলী, সোতিয়াপাড়া, রমজানপাড়া, বোয়ালিয়া, গোবিন্দপাড়া ও হরিপুরসহ বিল সংলগ্ন এলাকার ১০-১২ টি গ্রামের শত শত মৎস্যজীবি পরিবারের সদস্যরা এখন চরম মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
এ অবস্থায় প্রভাবশালীদের অবৈধ দখল থেকে বিলটি উদ্ধার করে সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিলসংগ্ন এলাকার মৎস্যজীবি পরিবারের সদস্যরা। সোমবার হাটদামনাশ সংলগ্ন ফজেরের মোড়ে সড়কের দুই পার্শ্বে দাঁড়িয়ে এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।
মানববন্ধন শেষে সড়কের তিন মাথার মোড়ে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মৎস্যজীবি পক্ষে বক্তব্য দেন- ইউপি সদস্য ফরেজ আলী, মজের আলী, মৎস্যজীবি হাবিবুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, সবুজ ও আব্দুল জলিল প্রমুখ। বক্তারা অভিযোগ করেন, বিলমালোলী বিলের মধ্যে প্রায় ৭০ বিঘা সরকারি খাস জলাশয় রয়েছে।
বাপ-দাদার আমল থেকেই তারা ওই বিলের খাস জলাশয়ে স্বাধীনভাবে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। কিন্তু সম্প্রতি এলাকার প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তি ক্ষমতার দাপটে তাদের উচ্ছেদ করে দিয়ে বিলের মধ্যে বাঁশের বানা দিয়ে অবৈধভাবে বিলটি দখল করে নেয়। এ বিষয়ে গোবিন্দাপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ও সাবেক চেয়ারম্যান বিজন সরকার বলেন, এলাকার গরীর ও অসহায় মৎস্যজীবিদের কথা বিবেচনা করে বিলটি সকলের জন্য উন্মক্ত করে দেওয়া প্রয়োজন বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।
উপজেলা জলমহাল ইজারা কমিটির সভাপতি বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ওই বিলের মধ্যে যেহেতু সরকারি খাস জলাশয় রয়েছে। কাজেই বিলটি কেউ অবৈধভাবে দখল করে নিতে পারে না। এলাকার গরীব ও অসহায় মৎস্যজীবিদের কথা বিবেচনা করে এ বিষয়ে দুই-এক দিনের মধ্যেই উভয় পক্ষকে ডেকে বিষয়টি সমাধান করা হবে।