বাগমারার ঝিকরা ইউনিয়নের কুদাপাড়া আহাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার এ্যাডহক কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের পদত্যাগের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় কিছু লোকজন। সোমবার দুপুরে এলাকাবাসীর ব্যানারে ভবানীগঞ্জ-আত্রাই সড়কে দাঁড়িয়ে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে শেষে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন- ঝিকরা ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন ফৌজদার, অভিভাবক আব্দুর রাজ্জাক ও আবু রায়হান প্রমুখ। বক্তারা তাদের বক্তব্যে মাদ্রাসার এ্যাডহক কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর, কারাবন্ধি সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদের অন্যতম সহযোগী এবং তাকে অর্থ ও নারী লোভী আখ্যায়িত করেন। এদিকে মিথ্যা অভিযোগ তুলে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে তাকে আওয়ামী লীগের দোসর সাবেক এমপি কালামের সহযোগী এবং তাকে অর্থ ও নারী লোভী আখ্যায়িত করায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এই ঘটনার পর থেকে বিএনপির মধ্যেও দুটি গ্রæপের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় বিএনপির দুটি গ্রæপের মধ্যে এখন চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফলে যে কোন মুহুর্তে সেখানে অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন স্থানীয় লোকজন। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন বিএনপির নেতা বলেন- জাহাঙ্গীর আলম বিএনপির একজন সক্রিয় নেতা। তিনি একজন উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি এবং তার যোগ্যতা বলেই তাকে স্থানীয় লোকজনের মতামতের ভিত্তিতে তাকে এ্যাডহক কমিটির সভাপতি মনোনীত করা হয়েছে। অথচ মিথ্যা অভিযোগ তুলে মানবন্ধন করায় এলাকার শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করে তোলা হয়েছে।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মাদ্রাসার এ্যাডহক কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন- তিনি জন্মলগ্ন থেকেই বিএনপি পরিবারের সদস্য। বর্তমানে তিনি ঝিকরা ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া তার মা জাহানারা বিবিও দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ ঝিকরা ইউনিয়ন বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। প্রকৃতপক্ষে মানববন্ধনকারীরাই আ.লীগ পরিবারের লোক বলে তিনি দাবি করেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণই মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও সাজানো। কারণ তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কোন থানা বা আদালতে এখন পর্যন্ত কোন মামলা তো দুরের কথা একটি জিডিও নেই। কাজেই তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের বিষয়ে আইনগতভাবে মোকাবেলা করা হবে বলেও তিনি সাংবাদিকদের জানান।
আই/অননিউজ২৪।।