বাগমারার বাসুপাড়া ইউনিয়নের কামনগর গ্রামে বনজ, ফলদ বৃক্ষ ও ফসলী জমিতে নতুনভাবে রাস্তা নির্মাণ বন্ধের দাবিতে জেলা প্রশাষকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। রোববার কামনগর গ্রামবাসির পক্ষে গোলাম হোসেন এই অভিযোগটি করেছেন। অভিযোগের কপিতে ওই গ্রামের আরো ১০ জন নারী-পুরুষের স্বাক্ষর রয়েছে।
আিভযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাসুপাড়া ইউনিয়নের কামনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কামনগর দর্গার মোড় পর্যন্ত একটি কাঁচা রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা চলছে। কিন্তু এর আগে কামনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কামনগর স্বতন্ত্র এফতেদায়ী মাদ্রাসা পর্যন্ত একটি কাঁচা রাস্তা ছিলো। সম্প্রতি গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর ওই রাস্তার মাঝখানে তাকে দাফন করায় রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তার বাড়ির পূর্বদিক দিয়ে গ্রামের লোকজন চলাচল করতেন।
সম্প্রতি সেখানেও জোরপূর্বক পানবরজ করে রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে গ্রামবাসির পক্ষে কামনগর গ্রামের মৃত আতাব উদ্দিনের ছেলে হাফিজুর রহমান নতুনভাবে একটি রাস্তা নির্মাণের জন্য আবেদন করেছেন।
রাস্তাটি বাস্তবায়ন হলে বনজ, ফলদ বৃক্ষ ও ফসলী জমি এবং পানবরজের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে অভিযোগে দাবি কার হয়েছে। এর আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছেও এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছিলো।
এদিকে গতকাল সোমবার সরজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, কামনগর গ্রামের মধ্যে দিয়ে ওই গ্রামের লোকজনের বর্তমানে চলাচলের জন্য কোনো রাস্তা নাই। এ কারণে শুধু পায়ে হেঁটে চালাচল করা ছাড়া ওই গ্রামের মধ্যে দিয়ে কেউ রিক্সা-ভ্যান কিংবা মোটর সাইকেল নিয়ে প্রবেশ করতে পারেন না।
কামনগর গ্রামের বাসিন্দা শ্রীপুর রামনগর ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক আব্দুল মালেক জানান, রাস্তাটি নির্মাণ হলে গ্রামের লোকজনসহ কামনগার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এফতেদায়ী মাদ্রসাগামী শিশু শিক্ষার্থীরাও উপকৃত হবে। এছাড়া বাইসাইকেল, মোটর সাইকেল এবং রিক্সা-ভ্যানসহ বিভিন্ন ধরণের যানবাহনযোগে গ্রামের মধ্যে দিয়ে চলাচলে সুযোগ সৃষ্ঠি হবে। কামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেনও একই মন্তব্য করেন।
রাস্তার আবেদনকারি জনৈক হাফিজুর রহমান বলেন, গ্রামবাসির চলাচলের সুবিধার কথা বিবেচনা করে তিনি রাস্তাটি নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিলেন। তার আবেদনটি অনুমোদন হওয়ায় প্রাথমিক পর্যায়ে দুই লাখ টাকার প্রকল্প বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অথচ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার করণে গ্রামের একটি পক্ষ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে এ ধরণের উন্নয়নমূল কাজে বাঁধা সৃষ্টি করছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজীব আল রানা বলেন, যেহেতু ওই রাস্তাটির দুই প্রান্তে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এফতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে। তাই শিক্ষার্থী এবং গ্রামের লোকজনের চলাচলে সুবিধার জন্য রাস্তাটি হওয়া বিশেষ জরুরী।
এ কারণে প্রাথমিক পর্যায়ে মাটি ফেলে কাঁচা রাস্তা নির্মাণের জন্য দুই লাখ টাকার প্রকল্প বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আরো বরাদ্দ দিয়ে রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।