বাগমারায় ছাত্র-জনতার কোঠা আন্দোলনে যাওয়ার পথে শিমুল আলী খাঁ নামে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে রাজশাহী- ৪, বাগমারা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টু ও গোয়ালকান্দি ইউপির চেয়ারম্যান আলমগীর সরকারসহ ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১৫০-২০০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার দুপুরে ওই ব্যবসায়ী নিজেই বাদি হয়ে মামলাটি করেছেন। থানার ওসি অরবিন্দ সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের রামরামা গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে ব্যবসায়ী শিমুল আলী খাঁ গত ৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ছাত্র-জনতার কোঠা আন্দোলনে যোগ দিতে মোটর সাইকেল নিয়ে উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জ বাজারে যাচ্ছিলেন। এ সময় ভবানীগঞ্জ কারিগরি ও ব্যবস্থাপনা কলেজের সামনে বাগমারার সাবেক এমপি ও তাহেরপুর পৌর আ.লীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম, রাজশাহী জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি ও বাগমারা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টু, গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ও ইউপির চেয়ারম্যান আলমগীর সরকার, তাহেরপুর পৌর যুবলীগ নেতা সোহেল রানা ও শামিম ওসমানসহ ১৫০-২০০ জন দলীয় নেতা-কর্মী হাতে হাসুয়া, লাঠি, লোহার রড, রামদা, চাইনিজ কুড়াল, হকিস্টিক, পিস্তল ও ককটেলসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ব্যবসায়ী শিমুল আলীর ওপর হামলা চালায়। সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টুর হুকুমে হামলাকারিরা শিমুল আলীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এবং তার শশীরে তিনটি গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় হামলাকারিরা ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে। হামলায় শিমুল আলী মারা গেছে মনে করে হামলাকারিরা তাকে টেনে হেঁছড়ে রাস্তার এক পাশে ফেলে রেখে চয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।