বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. গোলাম রাব্বানীর দুর্নীতি প্রতিবাদে স্বাস্থ্যকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। বিক্ষোভকারীরা এক পর্যায়ে দুর্নীতিবাজ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানীকে অফিস কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। অবশেষে বিক্ষোভকারীদের তোপের মুখে সম্মানির টাকা দিয়ে রক্ষা পান তিনি।
জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যাণ সহকারীদের মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কমিউনিটি ক্লিনিকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এজন্য তাদের সম্মানি দেওয়ার কথা থাকলেও এতদিন তা দেওয়া হয়নি। ঈদের আগে গোপনীয়তা রক্ষা করে মাত্র ১২ জন স্বাস্থ্য সহকারীকে ১০ হাজার টাকা করে সম্মানি দেওয়া হয়। তবে দায়িত্ব পালন করা ৫৩ জন পরিবার কল্যাণ সহকারীদের ডাকা হয়নি। বিষয়টি জানার পর গতকাল রোববার বিকেলে বঞ্চিত ৫৩ জন পরিবার কল্যাণ সহকারীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জড়ো হয়ে তারা সম্মানির দাবি করলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তাদের প্রতি চড়াও হন। এসময় কয়েকজনকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করা হয়। এর প্রতিবাদে তাৎক্ষনিকভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। পরে ৫৩ জন পরিবার কল্যাণ সহকারীকে (স্বাস্থ্যকর্মী) ১৩ দিনের সম্মানি হিসাবে নগদ পাঁচ হাজার ২০০ টাকা করে দেওয়া হয়। পরিবার কল্যাণ সহকারী হোসনে আরা, আঞ্জুয়ারা, রাবেয়া খাতুন, নাইস ও বিউটি খাতুন অভিযোগ করে বলেন, দুর্নীতিবাজ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. গোলাম রাব্বানী তাদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ আতœসাতের চেষ্টা করেছিলেন। এর আগেও তিনি বিভিন্ন বরাদ্দের টাকা আত্মসাত করেছেন। প্রতিবাদের পর তাদের মাত্র ১৩ দিনের সম্মানি দেওয়া হয়েছে। তবে তারা আরও বেশি টাকা পাবেন বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম রাব্বানী বলেন, তিনি তাদের সম্মানির টাকা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা ভুল বুঝে চড়াও হয়েছে। রাজশাহীর সিভিল সার্জন আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, তিনি অনেক আগেই করোনার টিকা প্রদানকারীরা স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্মানি পরিশোধের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চেকের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়েছেন। কিন্তু এতদিন কেন টাকা দেওয়া হয়নি তা দ্রæত খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।