বাগমারার সোনাডাঙ্গা ইউনিয়নের সোনাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক গোলাম মোস্তফার বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে রান্নাঘর ও গোয়ালঘর ভাংচুর করা হয়েছে। এ সময় হামলাকারিরা গোলাম মোস্তফার বাবা, মা ও বোনকে মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। রান্নাঘর ভেঙ্গে ফেলায় ওই কৃষক পরিবারকে এখন খোলা আকাশের নিচে রান্না করে জীবিকা নির্বাহ করতে হচ্ছে। গতকাল শনিবার সকালে সোনাডাঙ্গা গ্রামে এই হামলা ঘটনা ঘটে।
সরজমিনে জানা গেছে, বাগমারার সোনাডাঙ্গা ইউনিয়নের সোনাডাঙ্গা গ্রামের সায়ের আলী বিগত ১৩/১২/১৯৮৩ ইং তারিখের ১৩২৮৭ নং দলিল মূলে সোনাডাঙ্গা মৌজার এস.এ ৬১৮/২৬৫২ ও আর.এস ৮৩৬ নং দাগে লায়েক ০.১৫ একরের কাত জঙ্গল ০.০৩২৫ একর জমি একই গ্রামের মৃত মেহের আলীর ছেলে ফায়ের আলী ও তাহের আলীর নিকট থেকে ক্রয় করে বসতবাড়ি নির্মান করে বসবাস করে আসছেন। এরপর বিগত ৩০/০৬/২০১৯ ইং তারিখে ৪১৭৯ নং হেবা ঘোষণা দানপত্র দলিল মুল সায়ের আলী তার নাতি গোলাম মোস্তফাকে ওই জমি দান করেন। শনিবার সকাল ১০ টার দিকে ফায়ের আলী ও তাহের আলী ১০-১২ জন ভাড়াটিয়া বাহিনী নিয়ে কৃষক গোলাম মোস্তফার বসতবাড়িতে অতর্কিভাবে হামলা চালিয়ে রান্নাঘর ও গোয়ালঘর ভাংচুর করে। এ সময় হামলাকারিরা গোলাম মোস্তফার বাবা, মা ও বোনকে মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এ সময় জীবনের নিরাপত্তার জন্য ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে পুলিশের সহযোগীতা চাওয়া হলেও পুলিশ আসেনি বলে ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করেন। এর আগেও ফায়ের আলী ও তাহের আলী হামলা চালিয়ে গোলাম মোস্তাফার বাড়ির প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে গাছের চারা রোপনের চেষ্টা করে। এই ঘটনায় গোলাম মোস্তফা বাদি হয়ে আদালতে একটি মামলা করেন। মামলাটি বিচারাধীন থাকা সত্বেও ওই কৃষক পরিবারকে উচ্ছেদ করে জোরপূর্বক জমি দখলের উদ্দেশ্যে শনিবার পুনরায় হামলা চালানো হয় বলে গোলাম মোস্তাফা দাবি করেন। অপরদিকে ফায়ের আলী ও তাহের আলী দাবি করেন ওই জমি এখনো তাদেরই রয়েছে। তাই তারা ওই জমিটি দখল নিতে গিয়েছিলেন।
লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে থানার ওসি অরবিন্দ সরকার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এফআর/অননিউজ