বাগমারার বড়বিহানালী গার্লস হাইস্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাফিউল আলম ও কলেজ পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি সেকেন্দার আলীর বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এসব অনিয়মের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
কলেজের অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কলেজের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শাকিলা আক্তার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বড় বিহানালী ইউপির চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মিলন, মুক্তিযোদ্ধা সোলাইমান আলী, প্রতিষ্ঠানের বিএসসি শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, সহকারি শিক্ষক শরিফুল ইসলাম, অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, দশম শ্রেণী শিক্ষার্থী সিরাজুম মুনিরা ও আসমানী আক্তার প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দাবি করা হয়, বড়বিহানালী গার্লস হাইস্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাফিউল আলম ও কলেজ পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি সেকেন্দার আলী রাজনৈতিক প্রভাবখাটিয়ে অনিয়ম, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্নভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তারা অঢেল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আতœসাতের অভিযোগও রয়েছে। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীদের পক্ষে একটি লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়।
কিন্তু গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকেই অভিযুক্ত অধ্যক্ষ সাফিউল আলম কলেজে না এসে গোপনে আছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দ্রæত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।