বাগমারার মোহনগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষসহ ৫ জন প্রভাষকের বিরুদ্ধে জাল নিবন্ধন সনদ ও বিভিন্ন অনিয়মসহ অবৈধ নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় কলেজ পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য রহিদুল ইসলাম রোববার রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা গেছে, মোহনগঞ্জ কলেজ ডিগ্রী কলেজ হিসাবে অনুমোদনের পূর্বেই নুরুল ইসলাম ২০০০ সালের ৬ জুন উপাধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন। এর আগে তিনি ১৯৯৪ সাল থেকে ৬ বছর পর্যন্ত ইসলামে ইতিহাস বিষয়ে প্রভাষক পদে কর্মরত ছিলেন। ওই সময় তিনি প্রভাষকের পদ ও বেতনভাতা বহাল রেখেই উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নেন। কিন্তু সরকারি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুয়াযী একই সাথে দুইটি পদ বহাল রাখা এবং ডিগ্রী কলেজ হিসাবে অনুমোদনের পূর্বে উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নেওয়া অবৈধ। এছাড়া হারুন অর রশিদ প্রথমে ২০০৬ সালে ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে প্রভাষক পদে এবং পরে ২০১০ সালে সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ে প্রভাষক পদে নিয়োগ নেন। নিয়োগকালীন সময়ে তার নিবন্ধন সনদ জাল ছিল। এ কারণে ২০১৩ সালের ৯ম তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ৪০৮১৯১৩৫ রোল নম্বরের একটি নিবন্ধন সদন এবং ২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারী নিয়োগপত্র ও ২৭ জানুয়ারী যোগদানপত্র সংযুক্ত করে তিনি এমপিওভূক্ত হন। কিন্তু ওই সময়ে কলেজে কোন নিয়মিত পরিচালনা পর্ষদ ছিল না।
বিধি অনুয়ায়ী অনিয়মিত কলেজ পরিচালনা পর্ষদ কোন নিয়োগ বোর্ড গঠন করতে পারে না। কাজেই হারুন অর রশিদ অবৈধভাবে নিয়োগ দেখিয়ে অবৈধভাবে বেতান-ভাতা উত্তোলন করে সরকারি অর্থ আতœসাৎ করে আসছেন। আব্দুল হাকিম প্রথমে ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর দর্শন বিষয়ে প্রভাষক পদে নিয়োগ নেন। কিন্তু তার নিবন্ধন সনদটি জাল হওয়ায় পরবর্তীতে ২০০৫ সালে তার নিয়োগ ও যোগদান দেখিয়ে এমপিওভূক্ত হয়ে অবৈধভাবে সরকারি কোষাগার থেকে নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। এদিকে একাধিক পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ থাকা সত্বেও ইতিহাস বিষয়ের প্রভাষক আব্দুল লতিফ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক ছমির উদ্দিন অবৈধভাবে সহকারি অধ্যাপক হিসাবে বেতন-ভাতাসহ সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন। বিধি অনুয়াযী শিক্ষাজীবনে একাধিক তৃতীয় বিভাগ/ শ্রেণী থাকলে কেউ সহকারি অধ্যাপক হিসাবে বেতন-ভাতা উত্তোলন করতে পারেন না।
এদিকে উপাধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম দাবি করেছেন, সরকারি সকল নিয়মনীতি মেনেই তার নিয়োগ হয়েছে এবং বৈধভাবেই তিনি বেতন-ভাতা উত্তোলন করে আসছেন।
এ বিষয়ে মুঠোফানে যোগাযোগ করা হলে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর হাবিবুর রহমান সোমবার বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।