বাগমারায় দাঁড়ার মুখে প্রভাবশালীদের অবৈধ সুতি জাল
বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি ।।
বাগমারায় সোনাবিলের মৎস্যজীবীদের উচ্ছেদ করে দিয়ে ওই বিলের দাঁড়ার মুখ সুতি জাল দিয়ে ঘিরে অবৈধভাবে মাছ শিকার করছে প্রভাবশালী একটি মহল। এছাড়া ওই বিলের পানি নামার একমাত্র মাধ্যম থানার মোড় সংলগ্ন ¯øুইচ গেটের মুখও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে কৃত্রিম জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে ওই বিলের প্রায় দশ হাজার একর জমিতে চাষাবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এর প্রতিকার চেয়ে মৎস্যজীবী ও কৃষকদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাগমারা থানা সংলগ্ন সোনাবিলের চারদিকে বাগমারা, গোপালপুর ও বালানগরসহ কয়েকটি গ্রামে পাঁচশতাধিত কার্ডধারী গরীর ও অসহায় মৎস্যজীবী পরিবার রয়েছে। বাপ-দাদার আমল থেকেই তারা ওই বিলে স্বাধীনভাবে ফসল চাষ ও মাছ শিকার করে জীবীকা নির্বাহ করে আসছেন। কিন্তু সম্প্রতি এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল ক্ষমতার দাপটে তাদের উচ্ছেদ করে দিয়ে ওই বিলের পানি নামার একমাত্র মাধ্যম থানার মোড় সংলগ্ন ¯স্লুইস গেটের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া ওই বিলের দাঁড়ার মুখে অবৈধভাবে সুতি জাল দিয়ে ঘিরে মাছ ধরছে তারা। এ কারণে একদিকে যেমন কৃষকরা তাদের জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেন না, অন্যদিকে আবার ওই প্রভাবশালী মহলের হুমকির কারণে জেলেরা ওই বিলে স্বাধীনভাবে মাছ ধরতে পারছেন না। ফলে বিল সংলগ্ন এলাকার কয়েকটি গ্রামের শতশত কৃষক ও মৎস্যজীবী পরিবারের সদস্যরা এখন চরম মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এ অবস্থায় প্রভাবশালীদের কবল থেকে বিলটি উদ্ধার করে সকলের জন্য উন্মুক্ত রাখার দাবিতে এক সপ্তাহ ধরে এলাকার শতশত মৎস্যজীবী ও কৃষক পরিবারের সদস্যরা মানববন্ধন কর্মসূচীসহ বিভিন্নভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে মৎস্যজীবীদের আন্দোলন থামাতে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাশেল নামে এক মৎস্যজীবীকে পুলিশ আটক করেছে বলে আন্দোলনকারী মৎস্যজীবী আশরাফুল ইসলাম, আব্দুর রহিম ও শহিদুলই ইসলাম অভিযোগ করেন। তবে এতে মৎস্যজীবীদের আন্দোলন বন্ধ হবে না, বরং আরো জোরদার হবে বলে মৎস্যজীবী সাইফুল ইসলাম ও মকবুল হোসেন জানান।
এ বিষয়ে থানার ওসি রবিউল ইসলাম বলেন, ওই বিলকে কেন্দ্র করে একটি অভিযোগ ভিত্তিেেত একজনকে আটক করা হলেও পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা জলমহাল ইজারা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদা খানম বলেন, বিলে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে কৃষকরা স্বাধীনভাবে চাষাবাদ ও মৎস্যজীবীরা মাছ ধরতে পরবে। এতে কেউ বাঁধা দিলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ।।