বাগেরহাটের মোল্লাহাটে গতকাল বুধবার(২৭ জুলাই) সকালে, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন এর সহায়তা ও কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড-এর নেতৃত্বে এবং উন্নয়ন সংস্থা জেজেএস এর উদ্যোগে ‘পুষ্টি উন্নয়নে অংশগ্রহণমূলক সমন্বিত প্রকল্প ‘ক্রেইন’এর আওতায় উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির যৌথ পরিকল্পনা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ওয়াহিদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম মোল্লা। স্বাগত বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবারবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব, ডাঃ মাহফুজা খানম। পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন জেজেএস ক্রেইন প্রকল্পের নিউট্রিশন স্পেশাষ্টি মাহবুবা আক্তার। অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অফিসার অনিমেষ বালা, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সালাম, শিক্ষা অফিসার মোঃ কামাল হোসেন, অধ্যক্ষ এল জাকির হোসেন, প্রধান শিক্ষক ফরিদ আহম্মেদ, সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ ওসমান হামিদ, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পলাশ কুমার বিশ্বাস, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রুনিয়া আক্তার, ইউপি চেয়ারম্যান শিকদার উজির আলী, মনোরঞ্জন পাল, মোঃ মনিরুজ্জামান মিয়া, মোল্লা মিজানুর রহমান, শেখ শহিদুল ইসলাম(ভাঃপ্রাঃ), মোল্লাহাট প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সদস্য মোহাম্মাদ আলী মোহন, রূপান্তরের সিএসও মোবিলাইজার আঃ করিম প্রমুখ। সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন ক্রেইন প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী নব কুমার সাহা।
উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় সভাপতি তার বক্তব্যে পুষ্টির গুরুত্ব উল্লেখ করে বলেন, মানব দেহের জন্য পুষ্টি একটি অপরিহার্য বিষয়। পুষ্টি ছাড়া কোন মানুষ স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে পারেনা। কর্মক্ষম থাকতে এবং শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য পুষ্টি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন। উপস্থিত সকলকে তিনি পুষ্টি বিষয়ে সচেতন হয়ে তা নিজ জীবনে প্রতিপালন করা সহ সকলকে সচেতন করার আহবান জানান।।
অন্য্যন্য সদস্যগন এলাকার দরিদ্র জনগোষ্টির স্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি এনজিও এবং জনপ্রতিনিধিদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড এর নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়ন-এর অর্থায়নে ওয়াটার এইড, রূপান্তর ও জেজেএস এর সমন্বয়ে গঠিত কোস্টাল কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে বাগেরহাট জেলার উপকূলীয় চারটি উপজেলায় (মোল্লাহাট, কচুয়া, মোংলা ও শরণখোলা) সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর পুষ্টির সার্বিক উন্নয়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।