বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম বলেছেন, দেশে উৎকন্ঠা ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এবারে জামায়াতের পরিকল্পনায় গুরত্ব পাবে জাতীয় নির্বাচন।
এই নির্বাচনে বাজয়ী হতে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে। তিনশত আসনে জমায়াত প্রার্থী দিয়েছে। কিছু ইসলামী দলের সাথে আমাদের সমঝোতা হলে প্রয়োজনে তাদেরকে কিছু আসন ছেড়ে দিবো। যেসব আসন আমরা ইসলামী দলগুলোকে ছেড়ে দিবো সেসব আসনও সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করে বিজয়ী করে আনার চেষ্টা করবো। বাঘের হাত থেকে বাঁচার জন্য যেমন একজন ব্যক্তি চেষ্টা করে ঠিক সেরকম শক্তি দিয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
৫ আগস্টের পরে একটি দলের চরিত্র পরিস্কার হয়ে গেছে। মেধাবী তরুণরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নির্বাচনে শিবিরকে বিজয়ী করে জাতিকে বার্তা দিয়েছে আগামী জাতীয় নির্বাচনে কাদেরকে ভোট দিতে হবে।
একটি গোষ্ঠী সংস্কারের ব্যপারে প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে অনিহা দেখিয়েছে। আমরা মনে করেছিলাম সবাই সংস্কার চায়। কিন্তু আমরা দেখলাম একটা দল সংস্কার চায়না। বাধ্যহয়ে একপর্যায়ে সংস্কারে স্বাক্ষর করেছে এবং মেনে নিয়েছে। এখন তারা বলছে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একদিনে হবে। এখন তারা এটার বিরোধীতা করছে। সনদ পাশ হলে তাদের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যাবে। একই দিন হ্যাঁ না ভোট ও জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে গেলে ভোটারগণ বিভ্রান্ত হবেন এবং সময়ক্ষেপণ হবে।
তিনি আজ ১৬ নভেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা মহানগরীর রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। নগরীর ঢুলিপাড়ায় ভার্চুয়াল ফানটাউনে আয়োজিত সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ এতে সভাপতিত্বে করেন।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার সাবেক আমীর আব্দুস সাত্তার। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও কুমিল্লা মহানগরীর নায়েবে আমীর মোসলেহ উদ্দিন ও একেএম এমদাদুল হক মামুন। সম্মেলন পরিচালনা করেন, কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি কামারুজ্জামান সোহেল, মোশাররফ হেসেন ও নাছির আহম্মদ মোল্লা।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাসুম আরো বলেন, তারা চায় আগের মতো যেনোতেনো ভাবে একটি নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাবে। তারা জুলাই সনদ চায়না।
প্রধান উপদেষ্টাকে আমরা বলবো আপনার বক্তব্য সংশোধন করুন। আগে গণভোট এবং পরে জাতীয় নির্বিচনের ঘোষণা দিন। জনগণের দাবিকে মেনে নিয়ে আগে গণভোট ও পরে জাতীয় নির্বাচন দিন। বর্তমান অর্ন্তরবর্তী সরকারের সব ভালোকাজ বুমেরাং হয়ে যাবে যদি হ্যাঁ না ভোট ও জাতীয় নির্বাচনের ভোট একই দিন করা হয়। তিনি দেশবাসিকে এবারের নির্বিচনে হ্যাঁ ভোট ও দাঁড়িপাল্লা কে জয়যুক্ত করার আহবান জানান।