কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন শ্রীকাইল ইউনিয়নের সোনাকান্দা গ্রামে মসজিদ নির্মাণ কাজে বাঁধা দেওয়ার প্রতিবাদে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার দুপুরে ওই মসজিদ মাঠে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মসজিদ কমিটির সভাপতি শহীদুল্লাহ, দাতা আবদুল বারেক ভুইয়া, শ্রীকাইল হাইস্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধি আবদুল কাইয়ুম, মসজিদ কমিটির সদস্য জামাল মিয়া, আমীর হোসেন, আলমাস। মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, মসজিদ কমিটির সদস্য জুলমত মিয়া, জাকির হোসেন, সুলতান মিয়া, ফুল মিয়া, সুরুজ মিয়া, দুলাল মিয়া ও মোশারফ হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সোনাকান্দা গ্রামে মসজিদ করার জন্য আবদুল বারেক ভুইয়া ৭ শতক জমি দান করেন। ওই জমিতে তিনতলা ফাউন্ডেশন দিয়ে মসজিদ নির্মানের কাজ শুরু হয়। মসজিদের ভিট লেবেল বালু দিয়ে ভরাট করার প্রতিশ্রুতি দেয় শ্রীকাইল হাইস্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধি আবদুল কাইয়ুম। তিনি তার নিজের পুকুর থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে গত ৪/৫ দিন যাবত মাটি কাটা শুরু করেন। এরই মধ্যে বাঙ্গরা বাজার থানার সোর্স শ্রীরামপুর গ্রামের মাকসুদ মিয়া এসে মাটি কাটতে বাঁধা দেয়। তখন রফাদফার এক পর্যায়ে মাকসুদ মিয়া ৫০ হাজার টাকা দাবি করলে তাৎক্ষনিক ৩০ হাজার টাকা প্রদান করেন। বাকী ২০ হাজার টাকা দিতে দেরী হওয়ায় শনিবার দুপুরে দুই পুলিশ সদস্য এসে ড্রেজার মেশিনের পাইপ গুড়িয়ে দেয়। এতে আবদুল কাইয়ুমের ৩/৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। উক্ত ক্ষতির প্রতিবাদে সোনাকান্দা এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
বক্তারা আরো বলেন, শ্রীকাইল গ্রামে মন্দির করার জন্য মাটি ভরাট চলছে, এতে কারো কোন প্রকার আপত্তি নেই। কিন্তুু মসজিদের জায়গা ভরাট করলে গেলেই প্রশাসন, থানা পুলিশ ও কতিথ সাংবাদিকরা একের পর এক বাঁধা দিচ্ছে। বাঙ্গরা বাজার থানা এলাকায় পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে ৫০/৬০টি ড্রেজার চলছে। যারা নিয়মিত মাসোহারা দিতে ব্যর্থ হয়, তাদেরই ব্যবসা করতে সমস্যা হচ্ছে। মসজিদের জায়গা ভরাট করার জন্য স্থানীয় এমপি’র সুপারিশ থাকা সত্বেও মসজিদের নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত পাইপ বেআইনী ভাবে মোবাইল কোর্ট ছাড়াই ভাংচুর করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাঙ্গরা বাজার থানার সোর্স শ্রীরামপুর গ্রামের মাকসুদ মিয়া বলেন, তিনি মসজিদ ভরাট কাজের ড্রেজার থেকে কোন টাকা নেননি। ড্রেজার ব্যবসায়ী আবদুল কাইয়ুম তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে নেমেছেন বলে তিনি দাবি করেন।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি শফিউল আলম জানান, মসজিদ ভরাট করার কাজে ড্রেজার ব্যবহার করার কোন প্রকার অনুমতি নেই। পাশের মন্দির ভরাট করার কাজে ড্রেজার ব্যবহার করার মৌখিক অনুমতি রয়েছে। তবে থানার সোর্স মাকসুদ মিয়া কর্তৃক ৩০ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টি তিনি এরিয়ে যান। ড্রেজার অবৈধ তাই ভেঙ্গেছেন বলে তিনি জানান।
এফআর/অননিউজ
প্রধান সম্পাদক: হুমায়ুন কবির রনি
মোবাইল: ০১৭১৬-৫৩০৫১৪
ইমেইল: onnews24@gmail.com
www.onnews24.com