কারচুপির পুঁতি কিনতে বোনের কাছ থেকে এক হাজার টাকা নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন মকবুল হোসেন (৪০)। কিন্তু নয়াপল্টনে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত হন তিনি। মকবুলের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় স্ত্রী হালিমা খাতুনসহ পরিবারের লোকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আসেন। এ সময় লাশঘরের সামনে চিৎকার করে কাঁদছিলেন হালিমা ও পরিবারের সদস্যরা। সবাই যখন উচ্চস্বরে চিৎকার করে কান্নাকাটি করছে, তখন বাবার লাশের দিকে তাকিয়ে নীরবে কাঁদছিল সাত বছরের মিথিলা।
মকবুলের স্ত্রী হালিমা খাতুনের কান্নার চিৎকারে হাসপাতালের শতাধিক লোক জড়ো হন। বারবার চিৎকার করে লাশঘরের সামনে বসে পড়ে মিথিলাকে জড়িয়ে কাঁদতে থাকেন হালিমা। কাঁদতে কাঁদতে মেয়েকে বলছিলেন, ‘মাগো আর কান্দিস না, তোর বাবা আর নাই’।
মকবুল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার আব্দুস সামাদের ছেলে। তিনি পল্লবীর লালমাটি টিনশেড কলোনি এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।
হালিমা খাতুন জানান, সকালে কারচুপির পুঁতি কিনতে বড় বোনের কাছ থেকে এক হাজার টাকা নিয়ে বের হয়েছিলেন মকবুল। ঘণ্টাখানেক পরে মোবাইলে কথা হলে মকবুল জানান তিনি মিরপুর ১১ নম্বরে আছেন। তখন মিথিলা নাস্তা খেয়েছে কিনা জিজ্ঞেস করেন? উত্তরের বলেছিলাম হ্যাঁ। এটাই ছিল মকবুলের সঙ্গে শেষ কথা।
হালিমার দাবি তার স্বামী রাজনীতি করতেন না। তবে, মকবুলের ভাই নূর হোসেন জানান, তার ভাই বিএনপির কর্মী ছিলেন।
এর আগে, বুধবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মকবুলকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।