নিজস্ব প্রতিবেদক।।
জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি, অজানাকে জানা ও সময় কাটানোর জন্য বই পড়া অনেকেরই পছন্দ। এমন বইপোকাও আছেন তারা যেখানে যান সেখানেই একটি হলেও বই সঙ্গে করে নিয়ে যান ব্যাগে। সময় সুযোগ পেলেই উল্টাতে থাকেন বইয়ের পাতা।
এমন বইপ্রেমিদের কথা বিবেচনা করে এবার চমকপ্রদ এক সুবিধা নিয়ে এলো রাষ্ট্রয়াত্ত পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)। যাত্রাকালে যেখানে থাকবে লাইব্রেরি থেকে বই নিয়ে পড়ার সুবিধা। মঙ্গলবার বিআরটিসির নতুন এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই সেবাটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি’। জানা গেছে, এই লাইব্রেরিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজের লেখা বইসহ মুক্তিযুদ্ধ, প্রবন্ধ, উপন্যাস, ও বঙ্গবন্ধুর ভাষণসমূহ সংরক্ষণ করা থাকবে। যাত্রাকালে যাত্রীরা যেকোনো বই নিয়ে পড়তে পারবেন।
এর মধ্যদিয়ে বিআরটিসির সফলতার আরও একটি নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচিত হলো। বাস্তবসম্মত ও সৃজনশীল চিন্তাশক্তি থাকলে যে একটি ভঙ্গুর, দুর্নীতিগ্রস্থ ও জরাজীর্ণ প্রতিষ্ঠানকে উত্তরোত্তর উন্নত করা সম্ভব, আরও একবার তারই প্রমাণ দিলেন বিআরটিসির বর্তমান চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম।
বিআরটিসিতে নগর পরিবহন, মেট্রোরেলের শাটল বাস সার্ভিস, চট্টগ্রামে পর্যটক বাস সার্ভিস, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে শাটল বাস সার্ভিস, কক্সবাজারে ট্যুরিস্ট বাস সার্ভিসের পাশাপাশি আরও একটি অবিস্মরণীয় সংযোজন হলো এই ‘বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি’।
এ প্রসঙ্গে বিআরটিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা হিটলার বল জানান, ‘সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরিতে বইপ্রেমিরা বঙ্গবন্ধুর দর্শন, আদর্শ, ত্যাগ ও সংগ্রাম সম্পর্কে জানতে পারবেন। পাশাপাশি লাইব্রেরিটিতে বিআরটিসির সমাচার, বার্ষিক প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন বই এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উন্নয়ন কর্মকান্ডের স্থির চিত্র এবং বই থাকবে। এর বাইরে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন লেখকের বইও থাকবে এতে।’
এই কর্মকর্তা আরও জানান, আপাতত ঢাকা মহানগরীর মধ্যেই বাসটি চলাচল করবে। পরে দেশব্যাপী এই কার্যক্রম চালু করা হবে।
বিআরটিসি কুমিল্লা বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) মোহাম্মদ আবদুল কাদের জিলানী বলেন, বিআরটিসির বর্তমান চেয়ারম্যান একজন ভিশনারী দক্ষ প্রশাসক। স্যারের যোগ্য নেতৃত্বেই বিআরটিসি আজ সমৃদ্ধ, লাভজনক ও সফলতার দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে। বই প্রেমীদের পাশাপাশি বর্তমান প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানানোর জন্য এটি একটি অনন্য উদ্যোগ।
এফআর/অননিউজ