নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে সেক্ষেত্রে বহির্বিশ্বের কোন চাপ নেই। নির্বাচনে কোন দল অংশগ্রহণ করবে বা করবে না এটা তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত, এখানে তো এই সিদ্ধান্ত অন্যের উপরে চাপিয়ে দিতে পারি না।
মঙ্গলবার মাদারীপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নর উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।
ইসি মো. আলমগীর বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে এখনও আহবান করা হচ্ছে। শুধু বিএনপিকে একাই নয়, ৪৪টি রাজনৈতিক দলকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আহবান করেছে কমিশন।
তিনি আরও বলেন, যারা আসেননি তাদের আহ্বান করেছি এবং আহ্বান অব্যাহত রয়েছে, নির্বাচনে আসেন। যদি এমনও হয় যে, সংবিধান অনুযায়ী যে নির্বাচন সময়সীমা রয়েছে সেটাকে রিএক্টজাস্ট করার জন্য, যতক্ষণ নির্বাচন পিছানো সম্ভব সেটাতেও আমরা রাজি আছি।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনী সম্ভবত থাকবে। এই বিষয়ে এখনও ফাইনাল ডিসিশন হয়নি। তবে পূর্বের জাতীয় নির্বাচনে যেহেতু সেনাবাহিনী মোতায়ন ছিল সেহেতু এবারের নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সম্ভবনা রয়েছে। সেইভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে কমিশনার বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে কমিশন। ভোটার তালিকা ও ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত, নির্বাচনী সরঞ্জাম ঠিক করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তাদেরও প্রশিক্ষণ দেয়া শেষ হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বহিনীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় করা হচ্ছে। সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন করার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আচারণ বিধিমালা প্রতিপালনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মাঠে রয়েছে।
বহির্বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য কয়েকটি তালিকা পেয়েছি বলেও জানান নির্বাচন কমিশনার।
এসময় মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ মারুফুর রশিদ খান, মাদারীপুর পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলমসহ জেলার বিভিন্ন কর্মকর্তা ও আইন শৃঙ্খলা কর্মকর্তারা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আরএইচ/অননিউজ