টানা তৃতীয় মেয়াদে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। দ্বিতীয় দফায় এ নির্বাচনে ৫২ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি। এ বিজয়কে গণতন্ত্রের জয় হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন এরদোয়ান। বিশ্লেষকরা বলছেন, এরদোয়ানের বিজয় তুরস্কে বিভাজন আরও বাড়াবে। পশ্চিমাদেশগুলোও এরদোয়ানের বিজয়ে একইসঙ্গে শংকিত ও আশাবাদী।
রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, ৬৯ বছর বয়সী রক্ষণশীল রাজনৈতিক শিবিরের এই নেতা আবারও তুরস্কে ক্ষমতার আসনে। দেশটির রাজনীতিতে তার আধিপত্য দুই দশক ছাড়ালো। স্থানীয় সময় রোববার রানঅফ ভোটের ফলাফলে এরদোয়ান পেয়েছেন ৫২ দশমিক ১২ শতাংশ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পিপলস পার্টির কামাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ ভোট।
এরদোয়ানের সম্ভাব্য জয়ের খবর আসতে শুরু করলে সমর্থকরা জড়ো হতে থাকেন ইস্তাম্বুলে তার বাড়ির সামনে। মধ্যরাতে বিশাল জনসমাবেশে ভাষণ দেন এরদোয়ান। বলেন, তুরস্কের সাড়ে ৮ কোটি মানুষের জয় হয়েছে। জাতীয় লক্ষ্য ও স্বপ্ন পূরণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘আজ কেউ হারেনি, তুরস্কের ৮৫ মিলিয়ন নাগরিক জিতেছে। এখন আমাদের জাতীয় লক্ষ্য এবং জাতীয় স্বপ্নকে ঘিরে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময়।’
এদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কামাল কিলিচদারোগলু এখনও নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ জানাননি। ২০০৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এরদোয়ান। এরপর দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের পর এবারও দেশটির শাসনভার তার হাতে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এরদোয়ানের জয় তুরস্কে বিভাজন আরও বাড়বে। এদিকে জয় নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি পশ্চিমাদেশগুলো। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের বিশ্লেষণ বলছে, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর প্রতিষ্ঠাতা দেশটিকে নিয়ে শংকা ও আশা- উভয়ই রয়েছে পশ্চিমাদের।
উল্লেখ্য, গত ১৪ মে অনুষ্ঠিত প্রথম দফার ভোটে ৪৯ দশমিক পাঁচ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ের কাছাকাছি গিয়েছিলেন এরদোয়ান। এরপরই ছিলেন কিলিচদারোগলু। তার ভোট ছিল ৪৪ দশমিক ৮ শতাংশ। প্রথম দফার নির্বাচনে কোনও প্রার্থী শতকরা ৫০ ভাগের বেশি ভোট না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় গড়ায় দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।
এফআর/অননিউজ