ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগরে অসহায় এক পরিবারের উপর হামলা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে৷
হামলা ও মিথ্যা মামলার ঘটনাটি ঘটেছে বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামে। তাতেও থামেনি প্রতিপক্ষরা লোকেরা একের পর এক হামলা হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে৷
দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিজয়নগর থানায় ৩টি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে ৩টি মামলা হয়েছে। যা এখনও চলমান রয়েছে।
হামলার শিকার অসহায় পরিবারের বিরুদ্ধে আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে পত্তন ইউনিয়ন আ:লীগের সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন যাবত লক্ষীমুড়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হারুন মিয়ার পরিবার ও মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে করিম মিয়ার পরিবারের জমিতে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনায় দুই পরিবারের মধ্যে একাধিকবার মারামারি হয়। হারুন মিয়ার পরিবার খুব অসহায়৷ করিম মিয়ার পক্ষের লোকেরা তাদেরকে প্রায়ই হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় রাজত্ব কায়েম করেছে। গত রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে করিম মিয়া হাজিরা দিতে গেলে তাকে আটকের পর কারাগারে প্রেরণ করা হয়। করিম মিয়ার লোকজন হারুন মিয়ার পরিবারের উপর আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয় এবং তাদেরকে হত্যার হুমকি ধামকি সহ হত্যা করবে বলে ভয়ভীতি দেখান।
এলাকাবাসী আরো জানান, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারনে হারুন মিয়া অসহায় হয়ে বিপদে পড়ে গেছে৷ দুধ মিয়া লোক সুবিধার না। সে এলাকায় সরদারি করে, বিভিন্ন মানুষের সাথে ঝগড়া লাগায়।
হারুন মিয়াকে হত্যা চেষ্টার মামলার বাদি মাজেদা বেগম বলেন, তার স্বামী হারুন মিয়াকে হত্যার জন্য একাধিকবার হামলা করেছেন করিম মিয়ার লোকজন। এখন আবার করিম মিয়ার ছেলে আশিকও তার স্বামী হারুন মিয়াসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। তারা আমাদের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেছে৷ আমার ছেলে আলামীন সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে ৪ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছিল। ওই টাকা জোর পূর্বক করিম মিয়ার ছোটভাই আব্দুল্লাহ ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। তারা অসহায়। করিমসহ তার ভাই-ভাতিজারা তাদের বাড়িতে আগুনে লাগিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করবে বলে ভয়ভীতি দেখায়৷ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের হত্যার হুমকি দেয়। সঠিক বিচারের দাবি জানাই।
পত্তন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম জানান, বিষয়টি সমাধানের জন্য দুপক্ষের লোকজনকে আমি ডেকেছি কিন্তু কেউ আসেনি। আমি চেয়েছিলাম বিষয়টি মিমাংসার মাধ্যমে শেষ করতে কিন্তু তা পারিনি। উভয়পক্ষের মামলা হয়েছে৷ তারপর ঘটনাটি দ্রুত মিমাংসা করার জন্য চেষ্টা করবো।
পত্তন ইউনিয়নের আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়া সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক মামলায় করিম মিয়া নামের প্রধান আসামীকে আটকের পর কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। দুপক্ষের মামলা রুজু হয়েছে। এব্যাপারটি গুরুত্ব সাথে দেখতেছি। আইন সবার জন্য সমান, অন্যায়কারী যেকেউ হউক কাউকে বিন্দু পরিমান ছাড় দেওয়া হবে না।