প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে উপকূলের জেলাগুলোর বিদ্যুৎ নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুৎহীন আড়াই কোটি মানুষ। ক্ষতি এড়াতে অনেক এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় সারা দেশে প্রায় ২৫ হাজার মোবাইল ফোন টাওয়ার বন্ধ রয়েছে। এতে মোবাইল নেটওয়ার্ক বিভ্রাট অনেকটা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
রোববার মধ্যরাত থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার কোথাও নেই বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ কখন স্বাভাবিক হবে তা বলতে পারছে না বিদ্যুৎ অফিস। বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে মোবাইল নেটওয়ার্কও। লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কে রাস্তার ওপর গাছ উপড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। গাছ সরিয়ে সোমবার দুপুর নাগাদ যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
বাগেরহাটে রোববার বিকেল থেকে প্রায় ৫ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। শরীয়তপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ লাখ ৬৫ হাজার গ্রাহক বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, রোববার রাত ১১টার দিকে বিদ্যুৎ চলে যায়। এরপর থেকে আর বিদ্যুতের দেখা মেলেনি।
শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার আলতাপ হোসেন বলেন, ঝড় পুরোপুরি থামলেই আমাদের লাইনম্যানরা এলাকায় যাবেন। কোথায় ত্রুটি হয়ে তা শনাক্তের পরই লাইনগুলো চালু করে দেওয়া হবে। এরপর থেকে বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হবে।
ক্ষয়ক্ষতি কেমন হয়েছে জানতে চাইলে আলতাপ হোসেন বলেন, এখনও বলা যাচ্ছে না। পুরো লাইন পরীক্ষা করে পরে বলা যাবে।
এদিকে, রোববার দুপুর থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সাতক্ষীরা। ঝালকাঠিতে কয়েকটি সড়কে গাছ পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে গাছ সরিয়ে নিলে স্বাভাবিক হয় যান চলাচল। পটুয়াখালী ও পিরোজপুরে বিদ্যুৎ না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার জনগণ।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সারা দেশে প্রায় ২৫ হাজার মোবাইল টাওয়ার অচল হয়ে গেছে। যার ফলে মোবাইল যোগাযোগ বড় ধরনের বিভ্রাট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, যে টাওয়ারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো মেরামতে এরই মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। অপারেটরদের মাধ্যমে যতদ্রুত সম্ভব টাওয়ারগুলো চালু করা হবে।
এছাড়া বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, মাদারীপুরসহ উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকা এখন পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ।
সূত্রঃ বিডি24লাইভ
একে/অননিউজ24