ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, দেশে এখন বিদ্যুতের উৎপাদন হচ্ছে, কিন্তু ব্যবহার করতে পারছি না। বসে থাকলেও ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে। আমাদের রাজনীতিতে ‘ইনডেমনিটি’ একটি ঘৃণিত শব্দ। অথচ, ২০২২ সালে এই আইন আবার সংশোধন করে নবায়ন করা হয়েছে। শনিবার (২৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) আয়োজিত ‘জ্বালানি সংকট ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন’ শীর্ষক নাগরিক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে, এলএনজি লবি অনেক ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করছে। লুণ্ঠনবৃত্তি বিগত সরকারের মতো অব্যাহত রয়েছে। আমাদের সংসদ যে ভূমিকা পালন করার কথা, দুঃখজনক হলেও সত্য সংসদ সঠিকভাবে ভূমিকা পালন করতে পারছে না। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে ইনডেমনিটি থাকতে পারে না। এটা একটি অসভ্য আইন। কোনো সভ্য সমাজে এটা চলতে পারে না। নাগরিক সভায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়নে ক্যাবের পক্ষ থেকে ১৩ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়।
ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক মিজানুর রহমান রাজুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ক্যাবের জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ও সিনিয়র সহসভাপতি ড. শামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. বদরুল ইমাম, অধ্যাপক এম এম আকাশ, স্থপতি ইকবাল হাবিব, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া প্রমুখ।
শান্ত/অননিউজ