ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার ১০১নং বিলঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝেনতুন বই বিতরণ করা হয়েছে। রবিবার সকালে সারা দেশের ন্যায় ওই স্কুলেও বই বিতরণ উৎসবের আয়োজন করা হয়। নতুনবইয়ের সাথে দাতা সদস্যের ব্যক্তিগত উদ্যোগে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বছরের ক্যালেন্ডার, কলম, রঙ পেন্সিল, পেন্সিলবক্স, সাবান বিতরণ করা হয়।
বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক গোলাম আজমের সঞ্চালনায় বই বিতরণ উৎসবে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকএমজি আজম, সাবেক ইউপি সদস্য কবির আহাম্মদ, সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ভূইয়া, বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতিমাজেদুল ইসলাম মাজেদ, বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য বিশিষ্ট সাংবাদিক এমদাদুল হক সোহাগ। এসময় বিদ্যালয়ের অভিভাবকগণউপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য বিশিষ্ট সাংবাদিক এমদাদুল হক সোহাগ তাঁর বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনকবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরই প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করে সীমিত বাজেটের মধ্য থেকেই প্রাথমিকবিদ্যালয়গুলোকে জাতিয়করণ ও রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে শিক্ষকদের বেতন দেয়া শুরু করেন। তিনিই প্রথম প্রাথমিকের বইবিনামূল্যে দেয়া শুরু করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পঞ্চম শ্রেণির পর আর কোন সরকার ষষ্ঠ শ্রেণীথেকে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বই দিতে পারেননি। ২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগআজ প্রাক প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই দেয়া শুরু করেন। এবরও প্রায় সাড়ে ৩৩ কোটি বই বিতরণকরা হচ্ছে। সরকারের এমন উদ্যোগে দেশের শিক্ষার হার অনেক বেড়েছে। শিক্ষার আলো আজ দেশের প্রতিটি কানায় কানায়পৌঁছে গেছে। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
বক্তব্য শেষে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণীর মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন অতিথিগণ। নতুন বইপেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।