বিল পাস করাতে গেলে হিসাব রক্ষণ অফিস কে দিতে হয় ঘুষ
সুভাষ বিশ্বাস, নীলফামারী
হিসাব রক্ষণ অফিস আর অডিট কর্মকর্তাকে ঘুষ দিতে হয় তাই শিক্ষকদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়া হয়েছে। ঘুষ লেনদেন অনেক আগে থেকেই চলমান রয়েছে আমি হুট করে কি এটাকে বন্ধ করতে পারি? এ কথাগুল বলেছেন, ডিমলা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অভিযোগ ৩০ জুনের মধ্যে একটি বিদ্যালয়ের টাকাও ছাড় না করে টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে রেখেছেন তিনি। টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে নেওয়ার পর প্রধান শিক্ষকদের খবর দিয়েছেন টাকা তুলে নেওয়ার জন্য। তবে এ ক্ষেত্রে তিনি শর্ত দিয়েছেন, মেরামত কাজের জন্য ৮৮টি বিদ্যালয়কে ১২ থেকে ২০ হাজার টাকা করে দিতে হবে। পাশাপাশি স্লিপের টাকার চেকের জন্য বিদ্যালয়প্রতি ৫ হাজার, রুটিন মেইনটেন্যান্স চেকপ্রাপ্তির জন্য বিদ্যালয়প্রতি ৬ হাজার করে টাকা দিতে হবে।
বরাদ্দের টাকা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার অ্যাকাউন্টে আসার তিন দিনের মধ্যে সব বিদ্যালয়ের হিসাব নম্বরে স্থানান্তরের সরকারি নির্দেশ রয়েছে। বিদ্যালয়ের হিসাব নম্বর পরিচালিত হয় প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির যৌথ স্বাক্ষরে। কিন্তু ডিমলা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ সরকারি কোনো নিয়ম না মেনেই নিজের ইচ্ছামত এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। যেসব বিদ্যালয় ঘুষ দিতে অস্বীকার করছে, তাদের টাকা আটকে রাখেন শিক্ষা কর্মকর্তা। ঘুষ ছাড়া বিল তো দূরের কথা, একটা কাগজও সই করেন না তিনি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন সরকার জানান, প্রমান পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ফুটেজ হাতে পেলে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও করা হবে।
অপরদিকে ডোমার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আমির হোসেন তিনিও এখন পর্যন্ত চেক বিতরন করেন নি।