ফুটবল বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক এক বছর পর ভিন্ন এক ঘোষণা দিয়ে হাজির হয়েছেন লিওনেল মেসি। নিজের ক্যারিয়ারের অপূর্ণতা ঘোচানোর সেই বিশ্বকাপের মূল্যবান স্মৃতিগুলোকেই কিনা নিলামে তুলে দিচ্ছেন এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা। বিশ্বকাপে মেসির পরা ৬টি জার্সি নিলামে উঠছে। যা নিশ্চিত করেছেন মেসি নিজেই ফেসবুক বার্তায়।
বিশ্বের অন্যতম বড় চিত্রকলা, অলংকার ও সংগ্রহে রাখার মতো অন্যান্য জিনিসের ব্রোকার হাউস সোথেবির পক্ষ থেকে এই নিলাম পরিচালনা করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই সংস্থা সব মিলিয়ে জার্সিগুলোর দাম আনুমানিক এক কোটি ডলার আশা করছে। সেক্ষেত্রে ক্রীড়া জগতের সবচেয়ে দামী নিলাম হবে মেসির এই জার্সিগুলো। আর এই নিলামের জন্য প্রাথমিক ব্যবস্থা নিয়েছে এসি মোমেন্টো।
এদিকে ফেসবুক পোস্টে মেসি জানিয়েছেন, এই নিলাম থেকে পাওয়া অর্থের একটি অংশ দেওয়া হবে ইউনিকাসের একটি প্রজেক্টে। বার্সেলোনার শিশু হাসপাতালের সঙ্গে শিশুদের দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসায় যৌথভাবে কাজ করছে এই প্রতিষ্ঠান। আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই নিলাম চলবে। একইসময়ে প্রদর্শনীর জন্য রাখা হবে এই জার্সিগুলো।
উল্লেখ্য, আগের চার আসরে ব্যর্থতার স্মৃতি নিয়েই ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপ খেলতে নেমেছিলেন লিওনেল মেসি। আসরে দুর্দান্ত খেলে আর্জেন্টিনাকে ৩৬ বছর পর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে সাহায্য করেছেন মেসি। দলীয় সাফল্যের পাশাপাশি টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ‘গোল্ডেন বল’ জিতেছিলেন মেসি।
পুরো টুর্নামেন্টে মোট ৭ ম্যাচ খেলেছিলেন মেসি। সেখান থেকে ৬টি জার্সি উঠছে নিলামে। গ্রুপ পর্বে সৌদি আরব, মেক্সিকো, দ্বিতীয় রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়া, কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস, সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়া এবং ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে জার্সিগুলো পরেছিলেন মেসি।
উল্লেখ্য, নিলামকারী প্রতিষ্ঠানের প্রত্যাশা অন্যযায়ী, দাম এক কোটি ডলার পেরিয়ে গেলে খেলাধুলার স্মারক নিলামের তোলার ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে বিক্রির রেকর্ড গড়বে। কোনো খেলোয়াড়ের জার্সি নিলামে সর্বোচ্চ দামের বিক্রির রেকর্ডটি বাস্কেটবল কিংবদন্তি মাইকেল জর্ডানের। ১৯৯৮ সালে শিকাগো বুলসের হয়ে এনবিএ ফাইনালসে জর্ডানের পরিহিত জার্সি নিলামে এক কোটি এক লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছিল।
এফআর/অননিউজ