জার্মানী ও যুক্তরাজ্যকে পেছনে ফেলে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বাজারে পরিণত হবে বাংলাদেশ। ভোক্তা ও ভৌগলিক অবস্থান বিবেচনায় এমন আশার কথা শোনালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০৩০ সাল নাগাদ দেশে সচ্ছল জনগোষ্ঠীর সংখ্যা সাড়ে ৩ কোটির পরিসংখ্যান দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আজকের বাংলাদেশকে সাফল্যের গল্পগাঁথা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
আজ (বুধবার) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে কমনওয়েলথ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথা বলেন তিনি।
টেকসই পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ সরকার ও কমনওয়েলথের যৌথ উদ্যোগে প্রদান করা হয় কমনওয়েলথ বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু গ্রীণ ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড। বক্তব্যে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ধারাবাহিকতায় উন্নয়ন অগ্রযাত্রা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত ও সামরিক শাসনামলে অর্থনীতি বন্ধ্যাত্বের কবলে পড়েছিল দেশ।
সরকারপ্রধান বলেন, ২০০৯ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর আমরা দেশকে সুপরিকল্পিতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাই। আমরা স্বল্প, মধ্যম এবং দীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে দেশ গঠনের কাজে মনোনিবেশ করি। গণতান্ত্রিক পরিবেশ, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সরকারের ধারাবাহিকতা এবং পরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মসূচি দ্রুত বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে।
২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বাজারে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভৌগলিক দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান তিনশ’ কোটি মানুষের বাজারের কেন্দ্রস্থল। ২০৩০ সালে জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের বাজারকে পেছনে ফেলে তৃতীয় বড় বাজার হবে বাংলাদেশ বলেও জানান তিনি।
২০৩৭ সালে আমরা বিশ্বের ২০তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে-এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ থেকে আবাসন; সবক্ষেত্রেই মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ছে৷
বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ সুবিধা দেয়ারও আশ্বাস দেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
এফআর/অননিউজ