বুড়িচংয়ে ছোট ভাইদের অত্যাচারের অভিযোগে বড় ভাইয়ের সংবাদ সম্মেলন

কুমিল্লা প্রতিনিধি ||

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ছোট ভাই-বোনদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ভুক্তভোগী পরিবার। রোববার(১৩ জুলাই) সকালে বুড়িচংয়ের স্থানীয় একটি রেস্তোরায় এ সংবাদ সম্মেলন হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা উত্তর ইউনিয়নের পশ্চিমসিংহ গ্রামের আব্বাসের বাড়ির জসিম উদ্দিন, তার স্ত্রী রোকসানা বেগম ও তাদের মেয়ে জান্নাত আক্তার।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী রোকসানা বেগম বলেন, গত শুক্রবার (১১জুলাই) বিকাল ৪ টায় ভারেল্লা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মোরশেদ ও তার ছেলের নেতৃত্বে আমার দেবর-ননদসহ আরও কয়েকজন আমাদেরকে মারধর করে। আমাদের এ ঘর ছেড়ে বাড়ির পাশের একটি গর্তে গিয়ে ঘর করতে বলে। কিন্তু এখন সেখানেও ঘর করতে দিচ্ছে না। তারা বলে আমাদের কোনো জায়গায় নেই। আমাদেরকে ২৪ ঘন্টা সময় দিয়ে গেছে। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। কার কাছে বিচার দিব। গরীব দেখে কেউ আমাদের পাশে দাঁড়ায় না।

ভুক্তভোগী জসিম উদ্দিন বলেন, আমি দারোয়ানের চাকরি করি। বাবার মৃত্যুর পর আমাদের সম্পত্তি মৌখিকভাবে ভাগাভাগি হয়। সবাই যে যার জায়গা বুঝে নিয়ে বাড়ি-ঘর করে। আমি আর্থিকভাবে অসচ্ছল। এ কারণে বাবার ভিটাতে থেকে যাই। আমার ভাইয়েরা সবাই বড় লোক। তাদের রয়েছে একটি বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স বাড়ি। তারা বাড়ি করার সময় আমার পাওয়া জায়গা থেকে মাটি কেটে নিয়ে যায়। এজন্য আমার ওই জায়গাতে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। এখন তারা বলছে আমাদের কোনো জায়গায় নেই।

রোকসানা বেগম আরও বলেন, আমাদের ভাগের জায়গাতে ওরা গর্ত করে রেখেছে। এজন্য আমার শ্বশুরের ভিটায় নতুন ঘর করতে চাওয়ায় ওরা আমাদের উপর পাশবিক নির্যাতন চালাচ্ছে। আমরা বলেছি আমাদের পাওনা টাকা আড়াই লাখ ও ভাগের জায়গাটা ভরাট করে দেন! আমরা ওখানে চলে যাব। কিন্তু তারা আমাদের টাকাও দিচ্ছে না, জায়গাও ভরাট করে দিচ্ছেনা। আমাদের জায়গায় বোঝে পেতে আদালত মামলা করেছি। মামলা চলমান রয়েছে।

ভুক্তভোগী জসিম উদ্দিনের দুই ভাইয়ের নাম গিয়াস উদ্দিন ও মাঈন উদ্দিন। অভিযোগের বিষয়ে গিয়াস উদ্দিন বলেন, তাদের জায়গা বোঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা ওখানে যাচ্ছে না। তারা চায় আমাদের ঘরের সামনে ঘর করতে। এখানে কে দিবে বলেন ঘর করতে। আমাদের নামে মিথ্যা মামলা করায় আমার বোনের শুক্রবার তাকে জিজ্ঞাসা করতে গেছিল।

ভারেল্ল উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য মোরশেদ বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।

বুড়িচংয়ের দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ প্রধান বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আমার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

ই/অননিউজ ২৪

আরো দেখুনঃ