কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার দক্ষিণ গ্রামের সরকারি রাস্তার উপর স্হানীয় ইউপি সদস্য নাসিমা বেগমে ও তার ছেলে মোঃ মেহেদি হাসান এর বিরুদ্ধে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রাস্তায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণের ফলে সড়কটি সংকোচিত হয়ে জন সাধারণের চলাচলের মারাত্মক হুমকি হয়ে দাড়াবে। এ নিয়ে এলাকার মধ্যে দুটি পক্ষ চরম উতেজিত অবস্হায় আছে। যে কোন সময় রক্তি ক্ষয়ি সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে, এ ব্যাপারে বুড়িচং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিকট এলাবাসীর পক্ষে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দক্ষিণ গ্রামের মো. আলী হোসেনের ছেলে মো. আবদুল গফুরের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়-কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ১ নং রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণগ্রামের অন্তর্গত কুমিল্লার সালদা সড়ক হতে দক্ষিণগ্রামের পূর্ব পাড়ার ভেতর দিয়ে যে রাস্তাটি উত্তর গ্রাম ঘিলাতলা, ভবেরমুড়া গিয়ে সংযুক্ত হয়েছে এটি একটি কয়েকশত বছরের প্রাচীণ জনপদ। প্রতিদিন কয়েক হাজার হাজার জনগণ এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে আসছে। কিন্তু, গত কিছু দিন যাবত দক্ষিণ গ্রামের বাসিন্দা রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য নাসিমা বেগম এবং তার ছেলে মেহেদী হাসান সরকারী রাস্তার উপর সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু করে। তখন এলাকাবাসী নিষেধ করা সত্ত্বেও তারই প্রতিবেশী প্রতিপক্ষ মেহেদী হাছান গংদ্বয় ১৬ ফুট প্রসস্থের রাস্তাটি সংকোচিত করে বাউন্ডারি সহ বিল্ডিং নির্মাণ করেন। এতে জনগণ ও যাবাহন চলাচলে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগে জানান।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাফা এর শারীরিক অসুস্থতার জন্য কোনরূপ মতামত নেয়া যায়নি। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ মেহেদী হাছানের সাথে আলাপকালে তিনি জানান- সরকারি ভাবে রাস্তা দিতে তার কোন আপত্তি নেই। তবে সঠিকভাবে যাতে বাস্তবায়ন হয় তার উপর তিনি জোর দিয়েছেন। বুধবার রাজাপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আপাতত: কাজ বন্ধ রাখার নিদের্শ দেন উপজেলা সার্ভেয়ারের পরামর্শে। সার্ভেয়ার দিয়ে পরিমাপ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
রাজাপুর ইউপি সদস্য ও দক্ষিণগ্রামের মোঃ শাহীন মিয়া বলেন- ৫-৬ গ্রামের লোকজন এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে । তাই এ রাস্তা সঠিকভাবে বহাল রাখা জরুরী। এটি কোনভাবেই কারো দ্বারাক্ষতিগ্রস্ত যাতে না সে দিকে সংশ্লিষ্ট সকলকে খেয়াল রাখা দরকার। তাই বিষয়টি সুরাহাকল্পে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষসহ এলাকারসুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত মো. আবদুল গফুর গংদ্বয়। এদিকে, সরকারি রাস্তা দখল করে সীমান প্রাচীর নির্মাণের বিষয়টি নিয়ে উভয়
পক্ষের মধ্যে ক্ষুদ্ধভাব বিরাজ করছে।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24