‘বেয়াদব কোথাকার! আমার ডায়াবেটিস- একটা চকলেট দিয়েছে তার জন্য বাধা প্রদান করতে হবে?’
অনলাইন ডেস্ক।।

জুলাই আন্দোলনে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানিতে আদালতে উপস্থিত হয়ে পুলিশের ওপর চটে যান সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম। কাঠগড়ায় দাঁড়ানো অবস্থায় পুলিশ সদস্যরা তাকে চকলেট খেতে বাধা দিলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বেয়াদব কোথাকার, আমার ডায়াবেটিস—একটা চকলেট দিয়েছে তার জন্য বাধা প্রদান করতে হবে?’
বুধবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানার আদালতে এ ঘটনা ঘটে। সেদিন সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে কামরুল ইসলামকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানা থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরিয়ে আদালতে আনা হয়। আদালতে উপস্থিত তার আইনজীবী মোর্শেদ হোসেন শাহীন কাঠগড়ায় থাকা অবস্থায় তাঁকে একটি চকলেট দিতে গেলে পাশের পুলিশ সদস্যরা বাধা দেন।
এসময় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বেয়াদব কোথাকার! আমার ডায়াবেটিস—একটা চকলেট দিয়েছে তার জন্য বাধা প্রদান করতে হবে?’ পরে পুলিশ সদস্যরা ওই আইনজীবীকে কাঠগড়ার কাছ থেকে সরিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পর বিচারক এজলাসে ওঠেন এবং মামলায় কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আদালতের কাছে জানতে চান, কোন অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো। পাশাপাশি চকলেট ও পানি খাওয়ার অনুমতি চান। এ সময় বিচারক বলেন, ‘আইন অনুযায়ী পুলিশই খাওয়ানোর ব্যবস্থা নেবে।’ এরপর কামরুল ইসলামকে আবারও নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরিয়ে হাজতখানায় নেওয়া হয়।
এর আগে, শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক মো. মাহফুজুর রহমান ২৩ অক্টোবর মামলাটির তদন্তের স্বার্থে কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। বুধবার সেই আবেদনের শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত ৪ আগস্ট ‘জুলাই আন্দোলন’-এর সময় রাজধানীর বাংলা মোটর এলাকায় আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় কামরুল ইসলামসহ ৬৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা লাঠিসোটা, দেশি-বিদেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান এবং গুলিতে এক ব্যক্তি আহত হন।
সূত্রঃ barta bazar
আই/অননিউজ২৪।।