বৈধ-অবৈধ অস্ত্রের ক্যান্টমেন্ট রূপগঞ্জ। এখানাকার সন্ত্রাসীদের হাতে অস্ত্রের ঝনঝনানি রোজকার ঘটনা। সন্ত্রাসীদের হাতে এ অস্ত্র থাকলে সাধারণ মানুষ কেন্দ্রে যাবে না। আর অস্ত্র উদ্ধার না করলে সন্ত্রাসীরা কেন্দ্রে জোরপূর্বক সিল মারবে বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব ও নারায়নগঞ্জ-১ আসনে দলটির সোনালী আশঁ প্রতীকে মনোনীত প্রার্থী এ্যাড.তৈমুর আলম খন্দকার ।
আজ (বৃহস্পতিবার) দিনব্যাপী উপজেলার ভুলতা-গাউসিয়া, রূপসী, তারাবোসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন সন্ত্রাসী ও অস্ত্রবাজদের ভয়ে সাধারণ মানুষ নীরব স্তব্ধ হয়ে গেছে। মানুষ মুখ খুলে কথা বলতে পারছে না। সাধারণ মানুষের এই ভয়, নীরবতা ও স্তব্ধতা ভাঙ্গানোর দায়িত্ব স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর।
এ্যাড.তৈমুর আলম খন্দকার আরো বলেন, রূপগঞ্জের সাধারণ মানুষ ও আওয়ামীলীগ-বিএনপি নেতারা আজ মজলুম। তারা দীর্ঘ পনেরো বছর ধরে রূপগঞ্জের মানুষ এক পরিবারের কাছে জিম্মি। নিজেদের বাপ দাদার সম্পত্তি হারিয়ে আজ অনেকেই নিঃস্ব। তাদের অনেকেই প্রতিবাদ করতে গিয়ে মামলা হামলা ও নির্যাতিত হয়েছেন। দীর্ঘদিন যাবত আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকা স্বত্তেও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা একাধিক মামলার আসামী আর বিএনপি নেতারা হয়েছেন বাড়ি ছাড়া। গণহারে গ্রেফতার হয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীরা।
গনসংযোগকালে সোনালী আশঁ প্রতীকে ভোট চেয়ে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, আমি বিজয়ী হলে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির নেতাকর্মী উভয়ই নিরাপদ। কারণ আমি বিজয়ী হলে থানার কোন এজেন্সি বা দালাল বানাবো না, কোন চাঁদাবাজ বানাবো না, ভূমিদস্যু বানাবো না, এলাকায় এলাকায় ঘুড়ে লিস্ট করে নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে গণহারে গ্রেফতার করাবো না। আমি সর্বদলের লোকজনকে নিয়ে পঞ্চায়েত কমিটির মাধ্যমে সমাজ পরিচালিত করবো।
স্থানীয় মন্ত্রী ও থানা পুলিশের কট্টর সমালোচনা করে দলটির মহাসচিব আরো বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী মন্ত্রী ও পুলিশ বাহীনির ছত্রছায়ায় রূপগঞ্জে অস্ত্র ও মাদকের ছড়াছড়ি। এতদিন চনপাড়ার ডন খ্যাত বজলু ও তার বাহীনি অস্ত্র, মাদক, জুয়াসহ সকল সন্ত্রাসীমূলক কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণ করতো। বজলু স্থানীয় মন্ত্রীর একনিষ্ঠ ব্যক্তি হওয়ায় কেউ তার প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি । বজলুর মৃত্যুর পর থেকে তার উত্তরসূরীরা এখন মন্ত্রীর পরিচয়ে ধাবরে বেড়াচ্ছে। মাদক, অস্ত্রসহ সকল অপকর্ম চালাচ্ছে কিন্তু পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করছে না। মানুষ ভয়ে আছে। মানুষ মুখ খুলে কিছু বলতেও পারছে না। সন্ত্রাসীদের এমন কর্মকান্ড সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায়।
এফআর/অননিউজ