জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ করপোরেট প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। আর প্রান্তিক খামারি পর্যায়ে খরচ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সার্বিক বিবেচনায় বাজারে তা ২০০ টাকার বেশি বিক্রি হওয়া সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
রোববার (১৯ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে বাণিজ্য সচিবকে দেওয়া প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে বলা হয়, উৎপাদন পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির ব্যয় করপোরেট পর্যায়ে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। প্রান্তিক খামারি পর্যায়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। অথচ খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা; যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
বাজারে মুরগির দাম এখন আসলেই কত হওয়া উচিত, তা আরও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে অনুরোধ করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। একই সঙ্গে সরকারের আরেক প্রতিষ্ঠান প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও পোলট্রিশিল্পের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে মুরগির দাম নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।
উল্লেখ্য, সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়তে বাড়তে এখন প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক মাসের মধ্যে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় ১০০ টাকা।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এতটা বাড়তি দামে ব্রয়লার মুরগি কখনো বিক্রি হয়নি। বেড়েছে সোনালি মুরগির দামও। দেশি মুরগির দাম সাধারণের নাগালের বাইরে গেছে অনেক আগেই।
ফরহাদ/অননিউজ