ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিচারাঙ্গনে চলমান অস্থিরতার ঘটনায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, আমি অত্যন্ত দুঃখিত, আমি লজ্জিত। বিচার বিভাগ স্বাধীন, এখন বিষয়টি হাইকোর্ট তার এখতিয়ারের মধ্যে নিয়েছে। এ বিষয়ে আমি কোন বক্তব্য দিব না। তারা যদি আমার কাছে আসত তাহলে এ সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো না। একজন বিজ্ঞ বিচারকের সাথে যেই হউক সে যদি দুর্ব্যবহার করে, সেটাকে প্রশ্রয় দেক সেটা বাংলার জনগনের একজন সদস্যও দেবে না। আমি ঘটনার ভিডিও দেখেছি, সেটি যদি সত্য হয় তাহলে আমি মর্মাহত। আমি একজন আইনজীবী পরিবারের সদস্য হিসেবে বিশ^াস করি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল আইনজীবীরা এ রকম ঘটনা করতে পারেনা। এটা এক, দুই অথবা ৩ জন করতে পারে। যেহেতু হাই কোর্ট কনটেমন্ট রুল জারি করেছে, এটা হাই কোর্টের এখতিয়ারে আমি কোন কথা বলব না।
তিনি শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কসবা প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে কোন ব্যতয় হবে না। সংবিধানে কেয়ার টেকার সরকারের কোন বিধান নেই। কেয়ার টেকার গভর্মেন্ট অবৈধ। সেজন্য কেয়ার টেকার গভর্মেন্টের কোন প্রশ্নই আসেনা। নির্বাচন হবে, সকলে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন। জনগন যাকে ভোট দিবে সেই দল সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে সরকার গঠন করবে।
কসবা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে সম্মেলন উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজন। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভ‚ইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল আলম, পৌরসভার মেয়র এমজে হাক্কানী সহ দলীয় নেতাকর্মীরা।