ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬ আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে হয়েছে। যাচাই-বাছাইয়ে ৫৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। রবিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে এ বাছাই কার্যক্রম চলে। এতে বিভিন্ন দলের প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
যাচাই-বাছাইয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত সকল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। তবে বাতিল হয়েছে আওয়ামী লীগের ৬ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে ৪ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী সদ্য বহিস্কৃত বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামানের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
যাদের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে তারা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী এ. টি. এম মনিরুজ্জামান সরকার ও রোমা আক্তার, ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ বকুল হুসেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ জহিরুল হক চৌধুরি, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ কাজী জাহাঙ্গীর।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের বাংলাদেশ কংগ্রেস এর মনোনীত প্রার্থী বজলুর রহমান মিলন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মোস্তাক এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম ভুইয়া।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সফিকুল ইসলাম।
তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে দাখিল করা সকল মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে মনোয়নপত্র বৈধ ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সৈয়দ এ. কে. একরামুজ্জামান বলেন, নাসিরনগরের মানুষ পরিবর্তন চায়। এই পরিবর্তনএবং এলাকার উন্নয়নের জন্য যা যা করা প্রয়োজন- আমি তাই করব।
জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটানিং কর্মকর্তা মো: শাহগীর আলম জানান, জমা দেয়া ভোটার স্বাক্ষর অবৈধ, আয়কর জমা না দেয়াসহ আবেদনে ত্রুটির কারণে তাদের
মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তারা নির্বাচন কমিশনে ৫ থেকে ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে আপিল করতে পারবেন।
সূত্র: একুশে টিভি
আরএইচ/অননিউজ