পবিত্র ঈদুল-ফিতর উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাতিঘরের সদস্য আশিকুল ইসলাম আশিকের স্বরণে বাতিঘরের উদ্যোগে দুইশতাধিক অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। রোববার বিকেল সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন মিলনায়তনে এইসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। খাদ্য সামগ্রীতে ছিল- সাদা চাল, পোলাও চাল, সয়াবিন তেল, ডাল, আলু, পেয়াজ, আটা, লবন, সেমাই, চিনি, নুডলস, দুধ ও কিসমিস। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আল-আমিন শাহীনের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক হাবিবুর রহমান পারভেজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদ্দুস ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিক্যাল কলেজের চেয়ারম্যান ডা. আবু সাঈদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ, প্রেসক্লাবে সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম কাউসার এমরান, জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতিন কান্তি দত্ত, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজম, সানলাইফ হসপিটাল ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন, ঠিকাদার সুজন আহমেদ, হাজী মোহাম্মদ আলী, নুরুল ইসলাম মুন্সি, সাংবাদিক মেহেদী নুর পরষ, আরেফিন হোসেন হৃদয় ও আশরাফ উদ্দিন প্রম‚খ।
ঈদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণের সময় আরও উপস্থিত ডা. আবু হামেদ বাবু, সহকারী অধ্যাপক ডা. রনজিত বিশ্বাস, ড্রিম ফর ডিস অ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হেদায়েত আজিজ মুন্না, সাংবাদিক আশিকুর রহমান মিঠু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, অংকুর শিশু-কিশোর সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আনিসুর রহমান রিপন, যুবলীগ নেতা মহসিন খন্দকার, সাংবাদিক ইফতেখার রিফাত, সাংবাদিক বাহাদুর আলম, সাংবাদিক সীমান্ত খোকন প্রম‚হ। পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বাতিঘরের ছেলেরা যে কাজটি করে যাচ্ছে সত্যি প্রংশনীয়। আগামীদিনে এই সংগঠনের সফলতা কামনা করছি। তিনি আরও বলেন, বেওয়ারিশ লাশ দাফনকাজের কবরস্থানটি পুঃসংস্কার কাজ হাতে নিয়েছি। অতি শীঘ্রই কবরস্থানে মাটি ফেলাসহ সীমানা প্রাচীর করে দেওয়া হবে। এখানে সুন্দর ভাবে লাশ দাফনকাজ করতে পারবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিক্যাল কলেজের চেয়ারম্যান ডা. আবু সাঈদ বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর’এর সদস্যরা চিকিৎসক বা নার্স না হয়েও করোনাকালীন সময় থেকে বেওয়ারিশ লাশ দাফন করছেন। তারা অসহায় রোগীদের প্রতিদিন স্বেচ্ছায় রক্তদান করছেন। রক্তের জন্য এখন আর কোন চিকিৎসকের বসে থাকতে হয়না। তারা সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছায় রক্তদান নিয়ে সবাইকে সহযোগিতা করছে।
খাদ্য সামগ্রী বিতরণের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাংবাদিকসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।