ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামের দক্ষিন পুরাতন বাড়ি এলাকায় ইয়াকুব আলী নামের এক ব্যক্তির ভূমি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। একটি প্রভাবশালী মহল তার সাড়ে ১৩ শতক জায়গার মধ্যে ৮ শতক জায়গা জবর দখলে বার বার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ ঘটনায় ইয়াকুব আলী বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদলতে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে নালিশা ভূমিতে আদালতের ১৪৪ ধারা থাকলেও ওই মহলটি আদালতের আদেশ অমান্য করে জবর দখল চালিয়ে ঘর নির্মাণের চেষ্টা করে।
মামলার বাদী ইয়াকুব আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম জানান, ঘাটুরা গ্রামের দক্ষিন পুরাতন বাড়ি এলাকায় ওয়ারিশ সূত্রে সাড়ে ১৩ শতক জায়গার মালিক ইয়াকুব আলী। সুদীর্ঘ বছর আগে ইয়াকুব আলীর পিতা নূর বক্স শুক্কুর আলী, কানু মিয়া জিরা উদ্দিন গংকে তার জায়গায় থাকার জন্য ব্যবস্থা করে দেন। বর্তমানে শুক্কুর আলী, কানু মিয়া জিরা উদ্দিন ৩ জনই মারা গেছেন।
কিন্তু তাদের সন্তানেরা এই জায়গাকে নিজের জায়গা বলে জবর দখলের চেষ্টা ও অন্যত্র বিক্রীর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিষয়টি জানতে পেরে আমর পিতা ইয়াকুব আলী বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেছেন। মামলায় মৃত শুক্কুর আলীর ছেলে কাজল মিয়া, মৃত কানু মিয়ার ছেলে সহিদুল, জিরা উদ্দিনের ছেলে দুলাল মিয়া এবং মৃত কাজী মালন মিয়ার ছেলে কাজী হিরু মিয়া, কাজী রণি, কাজী নূর আলম গং এর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। পরে আদালত নালিশা ভূমিতে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৪৪ ধারা জারি করে। কিন্তু ওই মহলটি আদালতের রায় অমান্য করে ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে নালিশা ভূমিতে ঘর তোলার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে আমরা সদর থানা পুলিশের দ্বারস্থ হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে।
রফিকুল ইসলাম আরো বলেন, প্রভাবশালী মহলটি তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে প্রায়ই হুমকী ধামকী দিয়ে আসছে। এখন আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা এ বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।
১৪৪ ধারা ভেঙ্গে ঘর নির্মাণ করার বিষয়ে জানতে চাইলে কানু মিয়ার ছেলে সহিদুল জানান, আমাদের কাছে এই জায়গার কাগজ রয়েছে। আমরা নতুন ঘর বানাচ্ছি না। এটি পুরাতন ঘর।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার (ওসি তদন্ত) সোহরাব হোসেন জানান, নালিশা ভূমিটিতে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। উভয় পক্ষকে ১৪৪ ধারার বিষয়ে অবগত করা হয়েছে এবং আদালতের রায় না আসা পর্যন্ত নালিশা ভূমিকে কোন রকম কাজ করা যাবে না বলে সাবধান করা হয়েছে। যারাই আইন ভঙ্গ করবে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।