ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিল শাকিল মিয়ার বিরুদ্ধে একটি টিকাদান কেন্দ্রে ভায়াল থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে সিরিঞ্জে ভরে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
এদিকে প্রশিক্ষণ ছাড়া এভাবে সিরিঞ্জে টিকা ঢোকানোয় স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৭ আগস্ট দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের গণটিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়। গত মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) এই টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডেও এ টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয় বিএডিসিতে। ওই কেন্দ্রে টিকা দিতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ভেক্সিনেটর নিয়োগ করা রয়েছে। তারপরও ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাকিল মিয়া নিজে ভায়াল থেকে সিরিঞ্জে টিকার ডোজ ঢুকিয়ে দেন।
এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিরিঞ্জে টিকা ঢোকানোর সময় যদি কোনো ত্রুটি হয়, তাহলে টিকা নেওয়া ব্যক্তি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছাড়া টিকা দেওয়া উচিত নয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাকিল মিয়া বলেন, ‘আমি টিকা দিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নই। আমি শুধু টিকার খালি ভায়ালে যতটুকু ছিল, তা সিরিঞ্জে ঢুকাচ্ছিলাম। হয়তো এমন সময় কেউ ছবিটি তুলেছেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. একরাম উল্লাহ বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে টিকাদান কেন্দ্রে আমাদের কর্মী রয়েছে। তারা ছাড়া অন্য কেউ টিকা দেওয়ার নিয়ম নেই।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24