ফেনীর সোনাগাজীতে বড় ভাইয়ের লাঠির আঘাতে নিহত ছোট ভাই ইব্রাহিম খলিলের (৩৫) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় তাকে পারিবারিক কবরাস্থানে দাফন করা হয়েছে। বুধবার বিকালে চমেকে চিকিৎনাধীন অবস্থায় ইব্রাহীম খলিলের মৃত্যু হয়।
খুনীদের বাঁচাতে গাছের ঢাল পড়ে দুর্ঘটনা বলে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে একটি গ্রুপ মরিয়া হয়ে উঠেছে। নিহত হওয়ার দু'দিনেও হত্যা মামলা রুজু না হওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নিহত ইব্রাহিম খলিল উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের নবী উল্লাহর স্লুইজ গেইটের পশ্চিম পাশে আরব আলী সারেং বাড়ির সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। সে পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন। সে তিন ও দেড় বছর বয়সী কন্যা সন্তানের জনক।
এলাকাবাসী, পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, গত ৯মার্চ রোববার বিকেলে বাড়ির পাশের বোনের বাগানে পাতা কুড়াতে যান ইব্রাহিম খলিল। এ সময় বড় ভাই মোশারফ হোসেন সবুজ তাকে বাধা দেন। এ নিয়ে তাদের কথাকাটি হলে নিহতের স্ত্রী নাসিমা আক্তার স্বামীকে ঘরে নিয়ে আসেন। কিছুক্ষণ পর সবুজ ও তার স্ত্রী সুলতানা আক্তার ঘরের সামনে খলিল ও তার স্ত্রী নাছিমাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রাতে ইব্রাহীম খলিলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফেনী জেনারেল হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন সকালে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিহতের স্ত্রী নাসিমা আক্তার বলেন, আমার স্বামীর চিৎকার শুনে তাকে বাঁচাতে গেলে ভাসুর সবুজ ও তার স্ত্রী সুলতানা আক্তার আমাকেও পিটিয়ে আহত করেন। কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে কিছু প্রভাবশালী লোক ও স্বামীয় কয়েকজন আত্মীয়স্বজন হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে তার স্বামীর মাথায় গাছের ঢাল পড়ে মারা গেছে বলার জন্য বলে। তার স্বামীর পোস্টমার্টেমে লাশ কাটাছিঁড়ার ভয় দেখিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা করতে বলেন। তিনি ভয়ে দু'দিনেও মামলা করতে পারেননি।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদীপ রায় বলেন, এ ঘটনা পূর্বে কেউ পুলিশকে অবহিত করেনি। নিহতের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়ও থানায় কোন মামলা হয়নি।
এফআর/অননিউজ