দেশের বাজারে ভালো চাহীদা থাকায় ও দাম ভালো পাওয়ায় এবং অন্য বন্দরের তুলনায় সময় কম লাগায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সম্প্রতি শুরু হয়েছে ভারত থেকে শুকনামরিচ (কারেন্টঝাল) আমদানি।রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে এসব শুকনামরিচ। দিন দিন বন্দর দিয়ে শুকনা মরিচের আমদানি বাড়ছে এতে করে সরকারের রাজস্ব যেমন বাড়ছে তেমনি বন্দর কতৃপক্ষের আয় বেড়েছে।তবে পণ্যজট কাটিয়ে দ্রুত শুকনামরিচের ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করতে পারলে আমদানি আরো বাড়বে বলে জানিয়েছন ব্যবসায়ীরা।
আমদানিকারক মনোনীত হিলি স্থলবন্দরের সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট নুর-এ আলম সিদ্দিক বলেন, দেশের বাজারে ভালো চাহীদা থাকায় ও দাম ভালো পাওয়ায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে শুকনা মরিচ (কারেন্টঝাল)আমদানি হচ্ছে। বগুড়া, ঢাকা, চট্টগ্রামের আমদানিকারকগন এসব শুকনামরিচ আমদানি করছেন যার কাস্টমস থেকে পণ্য ছাড়করনের কার্যক্রম আমি সম্পুর্ন করছি। কাস্টমসের নির্ধারীত স্লাব অনুযায়ি ১০চাকার ট্রাকে ১৫টন, আর ১২চাকার ট্রাকে ২০টন করে শুকনামরিচ আমদানি করা হচ্ছে। প্রতিটন শুকনা মরিচ ১হাজার ৬শ মার্কিন ডলার মুল্যে আমদানি করা হচ্ছে, যা একই মুল্যে কাস্টমস কতৃপক্ষ শুল্কায়ন করছেন। এতে করে কেজি প্রতি শুকনামরিচের শুল্ক বাবদ পরিশোধ করতে হচ্ছে ২১টাকার মতো।
তিনি আরো বলেন, মুলত শুকনামরিচ ভোমরা স্থলবন্দর দিয়েই বেশী আমদানি হয় কিন্তু সম্প্রতি ভোমরা স্থলবন্দরে সিন্ডিকেট করার কারনে শুকনামরিচের ট্রাক প্রবেশ করতে ২০থেকে ২৫দিনের মতো সময় লাগছে। যার কারনে ট্রাকগুলোর ভাড়া হিসেবে বাড়তি টাকা ডেমারেজ হিসেবে গুনতে হচ্ছে এর উপর গাড়ি প্রতি বেশ পরিমানে টাকা চাদা হিসেবে গুনতে হচ্ছে। যার কারনে ওই বন্দর বাদ দিয়ে আমদানিকারকরা হিলি স্থলবন্দর দিয়ে শুকনা মরিচ আমদানি করছেন। তবে বর্তমানে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে শুকনামরিচ আমদানিতে কিছুটা বাড়তি সময় লাগছে যেখানে আগে কম সময় লাগছিল।শুকনামরিচ বাহী কোন ট্রাক যেন হল্টেজ না থাকে সময়মতো বন্দরে প্রবেশ করতে পারে তাহলে এই বন্দর দিয়ে আরো শুকনামরিচ আমদানি বাড়বে।
হিলি স্থল শুল্কস্টশেনর রাজস্ব কর্মকর্তা এসএম নুরুল আলম খান বলেন, হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারত থেকে শুকনা মরিচ আমদানি হচ্ছে। অর্থবছরের প্রথম জুলাই মাস থেকে থেকে শুরু করে ২৫শে অক্টোবর পর্যন্ত বন্দর দিয়ে ৭৫০টন শুকনামরিচ আমদানি হয়েছে। যা থেকে রাজস্ব বাবদ আয় হয়েছে ১কোটি ৫৬লাখ ৫০ হাজার টাকা।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দুদেশের মাঝে পণ্য আমদানি রফতানি বানিজ্য স্বাভাবিক রয়েছে। বন্দর দিয়ে অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি সম্প্রতি নতুন করে শুকনা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। এতে করে বন্দর থেকে সরকারের রাজস্ব আয় যেমন বেড়েছে তেমনি বন্দর কতৃপক্ষের দৈনন্দিন আয়ো বেড়েছে। সেই সাথে বন্দরে কর্মরত শ্রমিকদের দৈনিক আয় বেড়েছে।