কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী নির্যাতনের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কতৃপক্ষ। সাত কর্মদিবসের প্রতিবেদন ২৫ দিনেও জমা দিতে পারেনি তিন সদস্যের কমিটি। আহ্বায়ক জানিয়েছেন দ্রুতই তদন্ত প্রতিবেদনের কাজ শেষ হবে।
সূত্রমতে, গত ১২ জুলাই কলেজের ডিগ্রি ক্যাম্পাসে মিছিলের আয়োজন করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলন। মিছিল থেকে নিয়ে কলেজের কবি নজরুল ইসলাম হলে মো. তামিম হোসেন নামের এক ছাত্রকে দু'ঘণ্টা নির্যাতন করেন ছাত্রলীগ। ডিগ্রি প্রথম বর্ষের এ ছাত্রকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্বার করে সদর হাসপাতাল পাঠায় পুলিশ ও হল কতৃপক্ষ। ১৬ জুলাই কলেজের কলা ভবনের সামনে কয়েকজন ছাত্রীদেকেও লাঞ্ছিত করে কলেজ ছাত্রলীগ নেতারা৷
এ ঘটনার ঠিক একমাস পর ১২ আগস্ট তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেন অধ্যক্ষ। ৬০২ নং সংশোধিত অফিস আদেশে দেখা যায়, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ মনিরুল ইসলামকে আহবায়ক এবং রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ ফারুক আহাম্মদ ও ব্যবস্থপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গোলাম জিলানীকে সদস্য করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়। তদন্ত কমিটি গঠনের দিন থেকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন প্রশাসন। যা এক মাসেও শেষ করতে পারেনি তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
আহত তামিম হোসেনের বাবা আলী আসাদ বলেন,
দুই মাস হয়ে গেলো বিচার ফেলাম না। কলেজ অধ্যক্ষ হাসপাতালে দেখতে যায়নি। আমি সাহায্যের জন্য কলেজে গিয়ে ছিলাম। সাহায্য করেনি। স্যারদের কিছে বিচার পাবো কিনা? তাও জানি না।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, গত চার বছরে ডজনের বেশী নির্যাতনের অভিযোগ অধ্যক্ষের নিকট করে কোন বিচার পাওয়া যায়নি। যদি তামিম বিচার পায়, তাহলে এটি হবে প্রথম উদাহরণ।
তদন্ত কমিটির আহবায়ক হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা পারলে আজকেই তদন্ত রিপোর্ট দিয়ে দিতাম। কিন্তু তদন্ত চলমান রয়েছে। তবে আশা করছি দ্রুতই তদন্ত প্রতিবেদনের কাজ শেষ হবে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু জাফর খান বলেন, আমি কলেজে নাই, তারা কিভাবে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবে। তদন্ত প্রতিবেদন করতে হলেত তদন্ত কমিটির সদস্যরা আমার সাথে বসতে হবে। তারা তো আমার সাথে বসতে পারছে না।