ভূমি ও গৃহহীনদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সালাহউদ্দিন বকুল,হিলি প্রতিনিধি।।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমি ও গৃহহীনদের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সাহসী পদক্ষেপে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে এসব ব্যক্তিদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে সমাজের অবহেলিত ব্যক্তিরা আজ জীবনের রঙিন স্বপ্নের বীজ বুজছেন। আজ দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পে পরিদর্শন শেষে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল কুমার সরকার এসব কথা বলেন। হাকিমপুর উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুই পর্বে হাকিমপুর উপজেলায় ২৫৫টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে, বিরামপুর উপজেলাতেও দুই পর্বে ৭৬৫টি ঘর নির্মান করা হয়েছে। এছাড়াও পুরো জেলায় প্রথম পর্বে ৪৭৬৪ টি এবং দ্বিতীয় পর্বে ৩১২৫ টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।সরেজমিন নির্মিত এসব আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে বসবাসকারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,জমিসহ পাকা ঘর পেয়ে সেই ঘরে উঠে সকলেই নিরাপদে বসবাস করছেন। মাথা গোঁজার নিরাপদ ঠাই পেয়ে জীবনের শেষ সায়হ্নে এসেছে প্রশান্তির পরশ।
হিলির বোয়ালদাড়ের পলিবটতলি গ্রামের গোলে নূর বেওয়া জানান, আগে যেখানে মাথা গোঁজার মতো এক টুকুরো জমি আমাদের ছিলোনা। সেখানে পাকা ঘরে উঠা ও পাওয়া ছিলো তাদের নিকট স্বপ্নের মতো।আগেতো ছিলাম পরের জায়গায় কোনরকম ঘর করে। যার কারনে ছেলে মেয়ে নিয়ে খুব কষ্ট করে ছিলাম।তাই প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পাকা ঘর পেয়ে তার সকল কষ্টের অবসান হয়েছে। এখন আমাদের একটি নিজস্ব থাকার ঘর হয়েছে নতুন ঠিকানা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এই ঘর পেয়ে আমরা খুব খুশি। বিরামপুরের বুচকি গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী কয়েকজন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির পরিবার জানান, বাপ দাদার চৌদ্দ পুরুষ থেকেই তাঁরা ভূমিহীন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারনে তাঁরা পরিবার নিয়ে নিজেদের একটি ঠিকানা পেয়েছেন। বিরামপুর ও হাকিমপুর উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. কাউসার আলম জানান, জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তাগণের সার্বক্ষণিক তত্বাবধানে যথাযথভাবে প্রতিটি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর এ আলম জানান, প্রধানমন্ত্রী তাঁদের মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের যে উপহার দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা সততা ও বিশ্বস্ততার সাথে প্রতিটি গৃহহীনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব ঘর নির্মাণে তাঁরাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ ছাড়াও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ঘরের বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিদের প্রত্যক্ষ তদারকিতের এবসব ঘরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দিনাজপুর জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকি জানান, মুজিব বর্ষে এ পর্যন্ত জেলায় ৭৮৮৯টি ঘর নির্মাণ কাজ যথাসময়ে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় থেকে সরাসরি উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বরাবর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে মনিটরিং টিমের জেলার তেরটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাগণ সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রকৌশলী এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে অত্যন্ত সততার সাথে ৭৮৮৯ টি ঘরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিদর্শন দলসহ সকল পরিদর্শনে এই চিত্র ফুটে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের বিশেষ টিমসহ সংশ্লিষ্ট টিম দিনাজপুরের আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরের নির্মাণ কাজের তদারকি করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সাইফুল সুমন/অননিউজ24