ভেড়ামারা থানার উপ-পরিদর্শক রবিউল আওয়ালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি।।
কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লাবনী সুলতানা পলি প্রতিবেদন গ্রহণ করে ভেড়ামারা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল আওয়ালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। রোববার (১৩ আগস্ট) আইনজীবী আব্দুল্লাহিল মারুফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মিরপুরে আলোচিত হত্যাকাÐের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া গুরুত্বপূর্ণ আলামত গায়েব করে দেওয়ার দায়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ৯ জুলাই রাতে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের চক গ্রামে সামাজিক আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রæতার জের ধরে শওকত আলীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে আসামিরা। হত্যাকাÐের ঘটনাস্থলে মামলার ২ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি ওয়াকিবুল ইসলাম লিপসনের মোবাইল ফোন পড়ে যায়। সেই ফোন ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বাদীপক্ষ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রবিউল আওয়ালকে দেয়। মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত মোবাইল ফোন নিজ হেফাজতে নিয়ে জব্দ তালিকায় অন্তর্ভূক্ত না করে, এসআই উক্ত মোবাইল ফোন মিরপুর থানার ডেক্স থেকে চুরি হয়েছে মর্মে মিথ্যা বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি অসৎ উদ্দেশ্যে মামলার অন্যতম আলামত ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোনটি সুকৌশলে সরিয়ে ফেলেন। পরবর্তীতে মামলার ভুক্তভোগী অ্যাডভোকেট মারুক বিষয়টি কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারকে অবগত করলে রবিউল আওয়ালের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু হয় এবং একই সঙ্গে বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে আদালত কুষ্টিয়ার সিআইডি পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলাটি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করলে বিচারক তার বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করেন। আদালত গত ২ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে এসআই রবিউল আওয়ালের বিরুদ্ধে দÐবিধি ২০১ ধারায় আপরাধ আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন।

মারুফ বলেন, এসআই রবিউল আওয়াল শুধুমাত্র দায়িত্বে অবহেলা করলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা সীমাবদ্ধ থাকত কিন্তু তিনি হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামিকে এই মামলার দায় থেকে বাঁচানোর জন্য ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া আলামত মোবাইল ফোন গায়ের করে সরাসরি ফৌজদারি অপরাধ করে ফেলেছেন। যা দÐবিধির ২০১ ধারার সরাসরি লংঘন করেছেন। বিভাগীয় ও নিয়মিত মামলা চলাকালীন সে চাকরিতে বহাল রয়েছেন। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম জহির বলেন, আদালতের দেওয়া আদেশের বিষয়টি আমি এখনও জানি না। আদালতের আদেশ হাতে পাওয়া মাত্র আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

এফআর/অননিউজ

আরো দেখুনঃ