ভেড়ামারায় অটো রিক্সা চালককে হত্যার দায়ের একজনকে মৃত্যুদন্ড
জাহাঙ্গীর হোসেন জুয়েল, কুষ্টিয়া।।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় অটো রিক্সা চালক সুজন সিকদার কে হত্যা মামলায় রাকিবুল ইসলাম ওরফে আসাদ নামে একজনকে মৃত্যুদন্ড ও রাজু মোল্লা এবং শরিফুল ইসলাম ওরফে শরিফ নামে দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সে সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং সাজাপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে অনাদায়ে আরও একবছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম আসামীদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষনা করেন এবং আসামীদেরকে কঠোর পাহাড় জেলাকারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। রায় ঘোষনার সময়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী রাকিবুল ইসলাম ওরফে আসাদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির নিদের্শ দেন পুলিশকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের পি পি অনুপ কুমার নন্দী।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর দত্তপাড়া এলাকার খন্দকার ইউনুছ আলীর ছেলে রাকিবুল ইসলাম ওরফে আসাদ। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বড়খড়িখালী গ্রামের আঃ গণি মোল্লার ছেলে রাজু মোল্লা এবং মুক্তাঙ্গন আবাসন প্রকল্প-১ এর কয়ারগাছি এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে শরিফুল ইসলাম।
আদালতের মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের মার্চের ২৮ তারিখে দুপুরের দিকে সুজন সিকদার অটো রিক্সা ভাড়ার জন্য বাড়ী থেকে বের হয়। পরবর্তীতে সুজন ঐদিন রাতে বাড়ী ফেরে নাই। পরিবারের স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুজি করার সময়ে ভেড়ামারা থানার পুলিশের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারেন সাতবাড়ীয়া গ্রামের হাশেম আলীর লিচু বাগানে একটি রক্তাক্ত অবস্থায় মৃতদেহ পড়ে আছে। পরে পরিবারের স্বজনরা লাশ সনাক্ত করে। এ বিষয়ে নিহতের ভাই আলমগীর সিকদার ভেড়ামারা থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ভেড়ামারা থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা শহিদুল্লাহ মামলার তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের নামে ২০১৭ সালের জানুয়ারীর ১০ তারিখে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতের বিচারক মামলার আসামিদের শাস্তির আদেশ দেন।
পিপি এ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী বলেন, সুজন শিকদার এর ভাড়াকৃত ইজিবাইকটি চুরির পরিকল্পনা করে যাত্রীবেশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে আসামীরা। আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত প্রমাণিত হওয়ায় একজনকে মৃত্যুদন্ড ও দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত।