কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় ধরমপুর ইউনিয়নের মহিষোডোরা এলাকায় দফাদার ফিলিং স্টেশনে তেল আনলোড করার সময় পেট্রোল পাম্পে বিস্ফোরণের ঘটনায় দুজন নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা অঅশংকা জনক। দগ্ধ ১ জনকে ঢাকায় প্রেরণ করেছে। অপরজন ২জনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধনর রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১২ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে ভেড়ামারা উপজেলার মহিষাডোরা এলাকায় দফাদার ফিলিং স্টেশনে।
সাহাজুল (৩০) ও বিজয় (২৮) নামে দুইজন নিহতদেরকে ময়না তদন্তশেষে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের কুষ্টিয়া-দৌলতপুর সড়কের পাশে মহিষাডোরা এলাকার দফাদার ফিলিং স্টেশনে ট্যাংকি থেকে তেল আনলোড করার সময় হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ভেড়ামারা ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রæত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। এ ঘটনায় ওই ফিলিং স্টেশনে তেল সরবরাহ করতে গিয়ে সাহাজুল ও বিজয় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। নিহতরা হলেন, দৌলতপুর উপজেলার দিঘলকান্দি গ্রামের শাহাজুদ্দীনের ছেলে সাহাজুল (৩০) ও একই এলাকায় তৌহিদুল ইসলামের ছেলে বিজয় (২৮)।
আহতরা হলেন, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আল্লাহর দর্গা এলাকার রাজ্জাকের ছেলে রনি (২৬), একই উপজেলার দিঘলকান্দি গ্রামের মৃত জয়নালের ছেলে রিমন (১৪) ও ভেড়ামারা উপজেলার বেলাল আলীর ছেলে বিদ্যুৎ (২৬)। তারা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর আহত রিমন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন চিকিৎসকরা।
কুষ্টিয়া ফায়ার স্টেশনের লিডার হুমায়ুন কবীর জানান, ট্যাংকি থেকে তেল আনলোড করতে গিয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। একই কথা জানিয়েছেন দফাদার ফিলিং স্টেশনের মালিক আফানুজ্জামান জুয়েল। তিনি জানান, নিহত দু’জন পাম্পে তেল আনলোড করার সময় হঠাৎ আগুন লেগে তাদের মৃত্যু হয়েছে। তাদের বাড়ি দিঘলকান্দি গ্রামে।
ভেড়ামারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াছির আরাফাত জানান, ট্যাংকি থেকে তেল আনলোড করার সময় হঠাৎ আগুন লেগে দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের নাম সাহাজুল ও বিজয় বলে জানা গেছে। তাদের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশংকা জন। ১জন কে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।